বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকাল ৯টায় খিলগাঁওয়ের হিকমাহ আই হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম.হাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গ্লুকোমা দৃষ্টির এক নীরব ঘাতক।
তারা বলেন, শিশু থেকে বয়স্ক যে কারোরই গ্লুকোমা রোগ হতে পারে। পারিবারের কারো গ্লুকোমার ইতিহাস থাকলে, এছাড়াও চোখে আঘাত পাওয়া, ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যা, ডায়াবেটিসের কারণেও গ্লকোমা হতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ। এতে চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চোখের দৃষ্টি কমে যায়। একসময় রোগী স্থায়ী অন্ধত্বের দিকে ধাবিত হয়। এটা অনেকটা চোখের স্নায়ুতে ব্লাড প্রেশারের মতো। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০ থেকে ২১। তবে ২১ এর ওপরে উঠলে তা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও অনেক সময় গ্লুকোমার পরীক্ষা করানো হয় না। ফলে পরবর্তীকালে গ্লুকোমার কারণে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যায়। অনেক সময় চোখের ছানি অপারেশন করলেও গ্লুকোমা পরীক্ষা করে চিকিৎসা নেওয়া হয় না। তাই দেখা যায় ছানি অপারেশনের পরেও অনেকে অন্ধত্ব বরণ করে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৮০ লক্ষাধিক মানুষ গ্লুকোমার কারণে স্থায়ী অন্ধত্বের শিকার হয়েছে। এদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ার। গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে বিরাট জনগোষ্ঠী অপরিবর্তনযোগ্য অন্ধত্বের শিকার হন যা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করতে পারলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া খুব জরুরি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুগদা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম, হিকমাহ আই হসপিটালের সহকারী ব্যবস্থাপক শিশির কাউছার প্রমুখ।
এছাড়াও শোভযাত্রা, সমাবেশ ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পে আরও উপস্থিত ছিলেন হিকমাহ আই হসপিটালের কনসালন্ট্যান্ট, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্সরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
পিএস/এফএম