সোমবার (৩০ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইফতেখার আহমেদ।
এর আগে গত কয়েকমাসে হামে আক্রান্ত হয়ে ৮শিশু মারা যায় এবং শতাধিক শিশু আক্রান্ত হয়।
এদিকে সাজেক ইউনিয়নের নতুন আক্রান্ত গ্রামগুলো-ভুয়াছড়ি, কজইতলী, কজইছড়ি, শিলছড়ি, লাম্বাবাক, তালকুম্বা, বেতবুনিয়া, শিবপাড়া, বড়ইতলী, সাত নম্বর পাড়া, ডেবাছড়া ও উজানছড়ি গ্রাম উল্লেখযোগ্য।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ সমন্বয়ে দু’টি মেডিক্যাল টিম এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তবে চিকিৎসদের অভিমত, কুসংস্কার এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে এসব জনপদের মানুষের শিশুরা টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকাগুলোর সঙ্গে উপজেলা সদরের অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অসচেতনতা এবং এলাকাগুলো দূর্গম হওয়ার কারণে যথাসময়ে চিকিৎসাসেবা দিতে ডাক্তারদের বেশ বেগ পেতে হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আক্রান্ত এলাকার সাত নম্বর পাড়ার কার্বারী (গ্রাম প্রধান) দয়াল ত্রিপুরা বলেন, গত দুইদিন থেকে আমার এলাকায় মোট ১৬ জন হাম রোগে আক্রান্ত হয় এবং তারা সবাই এক থেকে আট বছরের শিশু। তার মধ্যে একই পরিবারের চার শিশুও রয়েছে।
আক্রান্ত চার শিশুর মা প্রতিমালা ত্রিপুরা জানান, রোববার সকাল থেকে আমার চার সন্তানের শরীরে হঠাৎ জ্বর উঠে এরপর রাত থেকেই তাদেরও শরীর লাল হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। শুধু গরম পানি খাওয়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ জানান, আগে থেকেই সেখানে আমাদের দুইটি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে এবং নতুন আক্রান্তের খবর পেয়ে আমরা ডা. বিষ্ণুপদ দেব নাথের নেতৃত্বে সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে ৫ সদস্যের আরেকটি মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছি। মেডিক্যাল টিমটি পৌঁছে গিয়ে আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে বলে ডা. ইফতেখার যোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এএটি