কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর ১৫ দিনের মধ্যে আইসিসিবিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১২ এপ্রিল কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ বলেন, দেশের মানুষ যাতে সঠিক সময়ে সেবা পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরেও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটি ভোগ করছে না। সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব এই ভবনটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে পারি। আমাদের বেড চলে এসেছে, টয়লেটের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ম্যাট বিছানোর কাজ চলছে। সব ধরনের কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি যাতে আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারি। সাধারণ ছুটির কারণে ঠিকাদারকে অনেক কষ্ট করে জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ডক্টর চেম্বার, নার্স চেম্বার, ওয়ার্ক স্টেশন এগুলো লে-আউট করে ফার্নিচার বসানো শুরু হবে। যথা সময়েই হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। তারপরও দু-এক দিন সময় বেশি লাগতে পারে। হাসপাতালে মোট আইসোলেশন বেড হবে ২ হাজার ১৩টি। ট্রেড সেন্টারে ছয় ক্লাস্টারে ১ হাজার ৪৮৮টি বেড বসবে। এছাড়া তিনটি কনভেনশন হলে থাকবে আরও ৫২৫টি বেড। এর বাইরে ৪ নম্বর হলে হবে ৭১ বেডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। যাচাই-বাছাই শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টারে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এসই/এএ