মঙ্গলবার (২ জুন) এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদের বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালে দু’টি ভবনে ৭৫০ বেডের করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা কম ছিল, তখন জরুরি বিভাগে যারা উপসর্গ নিয়ে আসতেন, তাদের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু এখন বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে, অনেকের কোনো উপসর্গ নেই, শুধু শুধু ভয়ের কারণে অনেকে হাসপাতালে এসে করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। আগত করোনা পরীক্ষার্থীদের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রচণ্ড ভিড় লেগেই থাকত। এ কারণে সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করে আমরা ৭৫০ বেডের দু’টি ভবন সরাসরি করোনা ইউনিট করেছি। সেখানেই ভর্তি নিয়ে রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, স্টাফ, নার্সদের কারোনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া স্টাফদের ফ্যামিলি বাবা-মা, ভাই-বোনদের এই আওতায় আনা হয়েছে। কারণ হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও স্টাফদের অধিকার বেশি। তারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
নার্স ও স্টাফদের পরিবারের কারও যদি কোনো উপসর্গ দেখা দেয় তবে তাদের করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদেরও পরীক্ষা ঢামেক হাসপাতালে ভাইরোলজি বিভাগেই হবে। হাসপাতালে শত শত রোগীসহ ডাক্তার-নার্সদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এ কারণে ভাইরোলজি বিভাগে পরীক্ষার চাপ থাকে অনেক। তাই ভর্তিকৃত রোগীরা ছাড়া অন্য কেউ হাসপাতালে এসেই ভর্তি ছাড়া করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে ৬৬ জন কোভিড-১৯ রোগির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও অনেকেই মারা গেছেন। আবার হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পাশাপাশি রোগীর সুস্থতার সংখ্যাও কম নয়। প্রতিদিন অনেক রোগী ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি করোনা উপসর্গ অনেকে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন।
প্রতিদিনই জরুরি বিভাগ ও আউটডোরে রোগীরা আসছেন জানিয়ে ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, চিকিৎসকরা যাদের মনে করছেন তাদের ভর্তি নিচ্ছেন। আর যাদের ভর্তি হওয়া দরকার নেই, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
এজেডএস/এসআরএস