তবে এসব উৎপাদনের মূল উপাদান আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলের পরিবর্তে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল মিথানল ব্যবহার করছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। এর ফলে সুরক্ষার পরিবর্তে ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও থেকে যায়।
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমন নকল স্যানিটাইজার পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে আটটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার (২৭ জুন) র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাব-১০ এ অভিযান চালায়।
এ সময় প্রায় ৪ হাজার পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব , ৫০ কেজি ওজনের ১৪ টি ড্রামে খোলা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং দুই হাজার লিটার লিকুইড হ্যান্ড স্যানিটাইজার জব্দ করা হয়।
আক্তারুজ্জামান জানান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যান্ড রাব তৈরিতে ব্যবহার আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয় বরং জীবাণুনাশক।
কিন্তু একটি অসাধু চক্র শরীরের জন্য ক্ষতিকারক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল মিথানল এবং বিষাক্ত রং ব্যবহার করে এসব স্যানিটাইজার ও রাব তৈরি করছে। যেসব সামগ্রী জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে না, বরং এসব ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয়।
নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব তৈরি মজুদ ও বিক্রির অভিযোগে লক্ষ্মী পারফিউমারির মালিক জনিকে দুই লাখ টাকা, কামাল পারফিউমারি ও কেমিক্যালের মালিক মো. কামাল হোসেনকে পাঁচ লাখ টাকা, দীন পারফিউমারির মালিক তাজুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা, সুমি এন্টারপ্রাইজের মালিককে দুই লাখ টাকা, আজতারা পারফিউমারির মালিক শামসুল ইসলামকে এক লাখ টাকা, জসিম পারফিউমারির মালিক মো. সেন্টুকে এক লাখ টাকা, দি বোরহান পারফিউমারি মালিক আব্দুর রহমানকে ছয় লাখ টাকা, বোরহান পারফিউমারি হাউসের মালিক মোহাম্মদ রেজাউলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সর্বমেট নয়টি মামলায় আটটি প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আরেকটি প্রতিষ্ঠান কামাল কেমিক্যালসের মালিক মোস্তফা কামালকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আবু কাওসারকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দু’টিকে সিলগালার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৬ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
পিএম/এসআইএস