বুধবার (১৩ নভেম্বর) সবশেষ ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ভুল তথ্য প্রচার ও ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করা প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
তারা জানায়, ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষায় ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে আইডি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া ও অবমাননাকর অ্যাকাউন্ট শনাক্ত ও বন্ধ করায় তাদের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। তারা প্রতিদিনই লাখ লাখ ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির চেষ্টা প্রতিরোধ করছে।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে ফেসবুকের কাছে তথ্য চাওয়ার পরিমাণ প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের অর্ধেক সময়েই ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকারগুলো। আর এক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর সর্বোচ্চ ৮২ হাজার ৪৬১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপরেই রয়েছে ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স।
ফেসবুক জানিয়েছে, সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবহারকারীর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে, তাদের বিরুদ্ধে এই তদন্তের বিষয়টি ব্যবহাকারীরা জানতেও পারেননি।
ফেসবুকের এবারের প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয়েছে তাদের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামকেও। অনাকাঙ্ক্ষিত কনটেন্ট ও কার্যক্রম বন্ধে প্রতিষ্ঠান দু’টির শীর্ষ কর্মকর্তারা একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
এছাড়া, মিথ্যা তথ্য সংবলিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
একে