ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ শাবান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নির্বাহী আদেশে সই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, পাশে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের আগে যা যা বলেছেন, তার সবই করে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি সই করলেন বহুল আলোচিত শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে।

এই আদেশের আওতায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়ার শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। একইসঙ্গে যেকোনো ধরনের শরণার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে আগামী ৪ মাস।

আর ৭টি দেশের ভিজিটর বা দর্শনার্থী প্রবেশ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ৩ মাসের জন্য।

‘যুক্তরাষ্ট্রকে গোঁড়া ইসলামি সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা করতে’ ট্রাম্প এই আদেশে সই করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) পেন্টাগনে নয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের শপথানুষ্ঠানের পর ধনকুবের প্রেসিডেন্ট এ আদেশে সই করেন।

নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষরকালে ট্রাম্প বলেন, আমি এই ‘ভেটিং মেজার্স’ নিচ্ছি গোঁড়া ইসলামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে রাখতে। আমরা শুধু তাদের এখানে আসতে দিতে পারি যারা আমাদের দেশকে সহযোগিতা করবে এবং আমাদের জনগণকে গভীরভাবে ভালোবাসবে।

আদেশটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রকাশ করা হয়। পরে তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রচার করতে থাকে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে- যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণ কর্মসূচি ৪ মাসের জন্য স্থগিত, বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ, ‘উদ্বেগজনক এলাকা’ সিরিয়া ও ইরাকের পাশাপাশি ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের কোনো ভিজিটর প্রবেশে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়াও এতে বলা হয়েছে পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী আবেদন গ্রহণের ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়ের দিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে যদি কেউ তার দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিভুক্ত হয়, সেও অগ্রাধিকার পাবে।

আদেশ অনুযায়ী, সদ্যবিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের আমলে বছরে যে শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্র নিতো, এ বছর তার অর্ধেকেরও কম (৫০ হাজার) নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরাক-সিরিয়াসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে যাওয়ায় এ সংখ্যা আরও কমে যাবে।

এদিকে, এ বিতর্কিত নির্বাহী আদেশের কড়া নিন্দা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা। ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গ এবং বোস্টনের মেয়র মার্টি ওয়ালশ এরইমধ্যে অভিবাসীদের হাতে যুক্তরাষ্ট্র গড়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।