জুকারবার্গ বলেছেন, “অন্য সবার মতো আমিও প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক কয়েকটি নির্বাহী আদেশের প্রভাব কী হবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন। এই দেশকে আমাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে হবে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) পেন্টাগনে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শপথানুষ্ঠানে ওই অভিবাসন সংস্কার সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশটি জারির পর জুকারবার্গ তার ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দিয়ে এ কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, “আমার পর-দাদা দাদীরা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও পোল্যান্ড থেকে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি অর্থাৎ স্ত্রী প্রিসিলার মা-বাবা চীন ও ভিয়েতনামের শরণার্থী। যুক্তরাষ্ট্র আসলে অভিবাসীদেরই দেশ। আমাদের উচিত এজন্য গর্ববোধ করা। ”
তাই ট্রাম্পকে শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরোজা খোলার রাখার আহ্বান জানিয়ে জুকারবার্গ বলেন, “আমরা যদি কয়েক দশক আগে শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিতাম, তাহলে প্রিসিলার মা-বাবা এখানে থাকতে পারতেন না। ”
তবে এখন যে সাড়ে ৭ লাখ অভিবাসী আছেন তাদের বিষয়ে জটিলতার সমাধানে ট্রাম্পের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন জুকারবার্গ।
ট্রাম্পের শুক্রবারের নির্বাহী আদেশের আওতায় মার্কিন মুলুকে যেকোনো ধরনের শরণার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে আগামী ৪ মাস। আর সিরিয়ার ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। ট্রাম্প তার আদেশে সিরিয়া ছাড়াও মুসলিমপ্রধান আরও ৬টি দেশের ভিজিটর বা দর্শনার্থী প্রবেশ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন ৩ মাসের জন্য। সে ৬টি দেশ হলো ইরাক, ইরান, ইয়েমেনে, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এইচএ/
আরও পড়ুন
** অভিবাসী প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা অবৈধ
** শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ
** বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র না ছাড়ার পরামর্শ আইনজীবীদের