বেইজিংয়ে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর জোট ব্রিকসের (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্মেলনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চীনের স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচির মধ্যে আলোচনার পর এই তথ্য জানিয়েছে নয়াদিল্লির একটি সূত্র।
ওই সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্মেলনে গত দু’দিন ধরে জিয়েচির সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন দোভাল।
যদিও দুই শীর্ষ কর্মকর্তার আলোচনার পরে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে দু’পক্ষই এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপর একটি সূত্র।
সেই সূত্রটি জানাচ্ছে , ভারত, ভুটান ও চীনের সংযোগস্থল ডোকলামে আপাতত চলমান অবস্থাই বজায় থাকবে। অর্থাৎ দু’পক্ষের সৈন্যই মুখোমুখি থাকবে। কারণ হিসেবে চীনের পক্ষ থেকে দোভালকে জানানো হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর চীনের সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস। তার আগে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হলে জাতীয়তাবাদে আঘাত লাগতে পারে বাহিনীর সদস্যদের।
তবে দু’পক্ষই ঠিক করেছে, এখন সমঝোতা ঘোষণা না করে একটি সুবিধাজনক সময়ে সিদ্ধান্তের কথা সরকারিভাবে জানানো হবে। যেন সীমান্ত জটিলতা কেটে যাওয়ার বিষয়টি দু’দেশই বড় করে দেখাতে পারে। চলতি বছরের শেষে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন। তার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ফেলতে চাইছে বেইজিং।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
এইচএ/