পিয়ংইয়ংয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (৯ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত যুদ্ধবিমানগুলোর অবস্থানস্থল সামরিক ঘাঁটি গুয়ামে মাঝারি থেকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা বিবেচনা করছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা গুয়ামের চারদিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার জন্য অপারেশনাল পরিকল্পনা সতর্কভাবে নিরীক্ষা করছি।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ। এর পেছনে কলকাঠি নাড়া দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম মূল্য’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় পিয়ংইয়ং।
এরমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া চলতে থাকে। তারই মধ্যে আবার জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক শ্বেতপত্রে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রে বহনের মতো যুতসই পারমাণবিক অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে উত্তর কোরিয়া।
তার আগে গত জুলাইয়েই উত্তর কোরিয়া দু’টি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়ে ‘তাদের আওতায় পুরো যুক্তরাষ্ট্রই চলে এসেছে’ বলে ওয়াশিংটনকে হুমকি দেয়।
ক্ষেপণাস্ত্রে বহনে সক্ষম এই পরমাণু অস্ত্র তৈরির খবরে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হয়ে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পিয়ংইয়ংকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তাদের এমন আগুনে ও আগ্রাসী জবাবের মুখোমুখি হতে হবে, যা বিশ্ব আগে কখনো দেখেনি। ’
কিন্তু ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির রেশ না কাটার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে পাল্টা এ হুমকি দেওয়া হলো।
পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে বেশ ক’মাস ধরেই কোরীয় উপদ্বীপ ঘেঁষে প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে যুদ্ধবিমানের মহড়ার পাশাপাশি দু’টি রণতরী পর্যন্ত মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেসব হুঁশিয়ারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উত্তর কোরিয়া তাদের সামরিক মহড়া-পরীক্ষা চালিয়েই যাচ্ছে। নতুন করে পাল্টাপাল্টি এই হুমকি উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়েই দিলো বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এইচএ/