উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক তুমুল উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলে শুক্রবার (১১ আগস্ট) টুইটারে এই হুংকার ছাড়েন ট্রাম্প।
তার আগে অবশ্য উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে সতর্কতা উচ্চারণ করে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় ঠেলে দিচ্ছেন।
জবাবে ট্রাম্প কড়া ভাষায় পিয়ংইয়ংকে তার টুইট বার্তায় বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া নির্বোধের মতো আচরণ করে দেখুক, এখন সামনে কেবল সামরিক সমাধান। পুরোপুরি রণসাজে প্রস্তুত (সামরিক বাহিনী)। ’
যে কিম জং-উনকে ক্ষমতার গদি থেকে সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার আভাস পেলে তাদের ‘মোক্ষম জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া, সেই জং-উনকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করছি কিম জং-উন নতুন পথ পেয়ে যাবেন। ’
উত্তর কোরিয়ার দুই দফায় আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ। এর পেছনে কলকাঠি নাড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকে বলা হয়, এজন্য ওয়াশিংটনকে চরম মূল্য দিতে হবে।
জবাবে যুক্তরাষ্ট্র বাকলড়াই চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কোরীয় উপদ্বীপে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ যুদ্ধবিমানের মহড়া দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, নিজেদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিতে পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলোর অবস্থানস্থল প্রশান্ত মহাসগারীয় দ্বীপ গুয়ামের সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।
এই উত্তেজনা জনমনেও ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের জন্য একটি সতর্কতামূলক তথ্যপত্র জারি করা হলে।
এরমধ্যেই আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলতে থাকেন, ওয়াশিংটন এখনও পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে উত্তেজনার কূটনৈতিক সমাধানের আশা করছে। তিনি আবার হুঁশিয়ার করে বলতে থাকেন, যদি যুদ্ধ লেগেই যায় তবে এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর।
সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রধানের এই ‘বিপর্যয়’ শঙ্কার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সমর-সজ্জার হুংকার ছাড়লেন ট্রাম্প। এখন এই হুংকারের পাল্টা কী জবাব উত্তর কোরিয়া দেয়, সেদিকেই নজর রাখছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এইচএ/