দেশটির সাংবিধানিক আদালতের ঘোষণায় এটি ‘অবৈধ গণভোট’। যা রুখতেই স্পেন সরকার বাধা দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আহতদের অনেককেই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন গুরুতর আহতও আছেন। এ তালিকায় রয়েছেন ১১ জন পুলিশ সদস্যও।
স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী সোরায়া সায়েনজ দে সান্তামারিয়া বলেন, পেশাদার ও যথাযোগ্যভাবেই আন্দোলন দমন করা হচ্ছে।
তবে ভোটের পক্ষের লোকজনরা দাবি করছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চালালেও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।
এদিকে উত্তপ্ত স্পেনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বার্সা ও লাস পালমাসের মধ্যকার ম্যাচটি হচ্ছে। প্রথমে লা লিগা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় খেলাটি হবে না। পরে তা হচ্ছে।
মূলত মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ এই গণভোটের তীব্র বিরোধিতা করছে প্রথম থেকেই। গেলো শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এর সমর্থনে আঞ্চলিক রাজধানী বার্সেলোনায় বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে হাজারো কাতালান। শনিবারও (৩০ সেপ্টেম্বর) এমন র্যালি আয়োজন করা হয়।
স্পেন সরকার এই গণভোট ঠেকানোর জন্য কাতালোনিয়াজুড়ে অজস্র অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করেছে। তবে আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইগডেমন্ট বলেছেন, সার্বভৌম জাতি হতে কাতালোনিয়া থেমে যাবে না।
স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী প্রায় ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের কাতালোনিয়ায় রয়েছে ৭৫ লাখ মানুষের বসবাস, যা স্পেনের মোট জনগণের ১৬ শতাংশ। স্পেন থেকে যা রফতানি হয়, তার ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ রফতানি হয় এই অঞ্চল থেকে। স্প্যানিশ জিডিপিতে কাতালোনিয়ার অবদান ১৯ শতাংশ। স্পেনে বিদেশি বিনিয়োগের ২০ দশমিক ৭ শতাংশ যায় এই অঞ্চলে।
নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির কাতালানরা সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ভোগ করলেও সাংবিধানিকভাবে পৃথক রাষ্ট্র হতে চায়। এখানকার আঞ্চলিক সরকার গত প্রায় পাঁচ বছর ধরেই আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চাপ হজম করছে জনগণের। ২০১৫ সালের আঞ্চলিক নির্বাচনে স্বাধীনতাপন্থি দল বিজয়ী হলে এই চাপ আরও স্পষ্ট হয়।
তবে স্বাধীনতার দাবিতে কাতালানরা সরব হওয়ার পর থেকেই বিরোধিতা করে আসছে স্প্যানিশরা। এই বিরোধিতার মধ্যেই ২০১৪ সালে কাতালানরা পরীক্ষামূলক গণভোট করলে তার ফলাফলকে উড়িয়ে দেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়। তিনি সেসময় বৈধ উপায়ে গণভোট আয়োজনের আবদারও না মানার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৭/আপডেট ২০১৬ ঘণ্টা
আইএ