যদিও সরকার দাবি করছে, রক্ষণাবেক্ষণে অতিরিক্ত খরচের ফলে বাদ দেওয়া হয়েছে এটি। তবে উল্টো তাজমহল থেকে ভারত সরকারের কত আয় তা উল্লেখ করা হয়নি।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত ভ্রমণের একটি বড় অংশই থাকে এই নিদর্শনকে ঘিরে, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য হওয়ায় প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক এটি দেখতে আসেন, এর থেকে ভারত সরকার প্রচুর রাজস্ব আয় করে।
১৬ শতকের ঐতিহ্যবাহী এই ভবনকাঠামো উত্তর প্রদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ নয় বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। তার সরকারের প্রথম বাজেট উপস্থাপনের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। শিক্ষাবিদেরা এর সমালোচনা করেছেন, কিন্তু কাজ হলো না।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ প্রায়ই বলে থাকেন, তাজমহল মুঘল সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করেছেন, এটা কোনোভাবেই ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
এর আগে ঐতিহ্যবাহী এই নিদর্শনকে বাজেট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
সেসময় সেন্টার ফর অবজেক্টিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সদস্য আতহার সিদ্দিকী বলেন, তাজমহলকে অবহেলায় পর্যটন খাতে রাজস্ব আদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আগ্রার পর্যটন গাইডের সচিব রাজীব সাক্সেনা বলেন, আগ্রায় বিশ্ব ঐতিহ্যের তিনটি নিদর্শন রয়েছে, তাই এর জন্য ভালো বাজেট প্রাপ্য। যদি আগ্রায় পর্যটক বৃদ্ধি পায় তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মথুরার মতো জায়গাগুলোতে পর্যটক বাড়বে।
লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজেশ মিশ্র সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্পূর্ণ বিভেদমুক্তভাবে এবং সব ধর্মের মানুষের অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
আইএ