ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমার সেনাপ্রধানকে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেন টিলারসন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
মিয়ানমার সেনাপ্রধানকে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেন টিলারসন রেক্স টিলারসন ও মিন অং হ্লাইং

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত নির্যাতন ও পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা স্রোত বন্ধে দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

ফোন করে তিনি এ আহ্বান জানান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টিলারসন রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাখাইনে একটা মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এ ব্যাপরে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি সহিংসতা বন্ধের কথাও বলেছেন।

বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুরেট জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন। একইসঙ্গে এখনই নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া নির্যাতিত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা সহজতর করতেও মত তার।

টিলারসন সম্প্রতি ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সফর করেছেন। সেখানে তিনি এ অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলার বিষয়ে কথা বলেছেন।   

সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে টিলারসন বলেন, রাখাইন ইস্যুতে জাতিসংঘের তদন্তদলকে সহযোগিতা করতে হবে। যাতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অভিযোগের তদন্ত হয় এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।

এদিকে দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে তাদের সামরিক কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে (ট্রাভেল ওয়েভার) যে সুবিধা পেতেন তা আর থাকবে না। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইতোপূর্বে জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে, জেএডিই অ্যাক্ট ট্রাভেল’র আওতায় মিয়ানমারের বর্তমান ও সাবেক সামরিক নেতারা যে ভ্রমণ সুবিধা পেতেন, তা আর থাকছে না। এছাড়াও রোহিঙ্গা সংকটে দেশটির উপর আরও কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় কিনা সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য ও কর্মকর্তা নির্যাতন থামাতে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা সাহায্য বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

দীর্ঘদিন সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারের ওপর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০১৫ সালে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সেখানে গণতন্ত্র ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্র সেসব কড়াকড়ি তুলে নেয়।

গত সপ্তাহেই টিলারসন বলেছিলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের দায় দেশটির সেনাবাহিনীর। তারা এ অভিযোগ এড়াতে পারে না।

যদিও মিয়ানমারের কমান্ডার ইন চিফ বারেবারে অসত্য তথ্য দিয়ে আসছেন। তার দাবি রোহিঙ্গারা ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’, এবং তারাই সহিংসতায় জড়িত। রাখাইন রাজ্যে তার বাহিনীর ভূমিকা নিপপেক্ষ বলেও মিথ্যাচার করেছেন তিনি অতি সম্প্রতি।

চলতি বছরের ২৪ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অত্যাচারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সোয়া ছয় লাখের কাছাকাছি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭/আপডেট ১১২৬ ঘণ্টা
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।