সারাবিশ্বের অব্যাহত এমন নিন্দার পরও রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠাতে থেমে নেই তিনি ও তার সেনা সরকার। নভেম্বরেও রোহিঙ্গা স্রোত কক্সবাজারে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো সিটি কাউন্সিল সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক ‘ফ্রিডম অব গ্লাসগো’ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের দায়ে সর্বসম্মতভাবে তার এই উপাধি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালে যখন গণতন্ত্রের আন্দোলনে গৃহবন্দি সেসময় এই উপাধি পান শান্তির জন্য নোবেল জয়ী সু চি।
সিটির লর্ড প্রোভোস্ট ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির রাজনীতিবিদ ইভা বোলান্ডার বলেছেন, রাখাইনে মানবিক সংকট সমাধানে তার হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি চিঠি লেখা হয়। কিন্তু সেটির প্রতিউত্তর ছিল অত্যন্ত হতাশা ও দুঃখজনক। ফলে তার সম্মাননা বাতিলে বাধ্য হয়েছি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিলের ১৯৯৭ সালের সম্মান প্রদর্শক পুরস্কার ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্ট হিউজ কলেজে সু চির প্রতিকৃতিমূলক ছবিও সরানো হয়।
চলতি বছরের ২৪ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অত্যাচারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের বেশি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
গণহত্যার দায়ে এবার সু চির পুরস্কার বাতিল
অক্সফোর্ড থেকে মুছে যাচ্ছে সু চির নাম
রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে সু চির প্রতিকৃতি সরালো অক্সফোর্ড
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
আইএ