জিম্বাবুয়ের জাতীয় দৈনিক হেরাল্ড এর মাধ্যমে প্রকাশিত এসব ছবি নিয়ে নানা সংবাদ প্রকাশ করছে আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো। মুগাবে সমর্থিত হেরাল্ডে প্রকাশিত ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেন এর সম্পাদক সিচার জায়েভি।
ছবিতে একজন যাজক ও দক্ষিণ আফ্রিকান দুই বিশেষ দূতকে দেখা যায়। বর্তমানে গৃহবন্দি এ নেতা তাদের সঙ্গে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা করছিলেন বলে জানিয়েছে হেরাল্ড।
সেনা অভ্যুত্থানের এক দিন পরেও ধোঁয়াশায় জিম্বাবুয়ে। অস্পষ্ট প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের ভবিষ্যতও। এরই মাঝে জিম্বাবুয়ের সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা।
এদিকে অভ্যুত্থানের পর প্রাথমিকভাবে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও এটা পরিষ্কার যে, তিনি গৃহবন্দি আছেন। আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সেনাবাহিনীর অব্যাহত চাপের পরও এখন পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিতে নারাজ।
বৃহস্পতিবারই (১৬ নভেম্বর) মুগাবের সঙ্গে কথা বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা। ওই দিনই হারারেতে পৌঁছেছেন জুমা সরকারের দুই মন্ত্রী। মুগাবের ভবিষ্যত নিয়ে সেনা কমান্ডারের সঙ্গে একটি রফায় আসতে বৈঠক করছেন তাঁরা। দ্য সাউথ আফ্রিকান ডেভলপমেন্ট কমিউনিটি-এর আঞ্চলিক শাখায় ওই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। মুগাবের ঘনিষ্ঠ এক যাজকও সেনার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
সেনা কমান্ডার জেনারেল কনস্ট্যান্টিনো চুইঙ্গা'র সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলতে দেখা যায় মুগাবেকে। এই সেনা কমান্ডারই সোমবার মুগাবেকে তার দীর্ঘদিনের মিত্র, উপরাষ্ট্রপতি মংনাগাওয়াকে উৎখাতের বিষয়ে সতর্ক করেন।
মুগাবে ৩৭ বছর ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার বেশির ভাগ রাজনৈতিক মিত্র ও সামরিক নেতা তার বিরুদ্ধে এক জোট হয়েছেন।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। ইউনিয়নের প্রধান তথা গিনির প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডে জানিয়েছেন, এইউ কখনই সেনার ক্ষমতা দখল মেনে নেবে না। তিনি বলেন, দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফেরানোর পাশাপাশি ছাউনিতে ফিরে যেতে সেনাকে আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
আরএম/জেডএম