উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং এর আগে বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারির গেমসে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাঙে একটি দল পাঠানোর কথা ভাবছেন তিনি।
তিনি বলেছিলেন, উভয় পক্ষকে ‘সম্ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করতে হবে’।
এর প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরীয় একত্রীকরণ মন্ত্রী চো মাইয়ং জিওন মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) প্রস্তাব দিয়েছেন যে, আগামী ০৯ জানুয়ারি দুই দেশের প্রতিনিধিরা তথাকথিত ‘যুদ্ধবিরতির গ্রাম’ প্যানমানজমে আলোচনায় বসতে পারেন। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত সীমান্তের গ্রামটি নিরপেক্ষ অঞ্চল, যেখানে আগেও আলোচনায় বসেছে দুই দেশ।
প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি বলেছেন, আগের অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত করার সুযোগ হিসাবে প্রস্তাবটিকে দেখেছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে মাত্র দু’জন অ্যাথলেট রওম টিই-ওকে ও কিম জু-সিক পিয়ংইয়ং গেমসের জন্য যোগ্য। যদিও এ দুই ফিগার স্কেটার তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আনুষ্ঠানিক সময়সীমা মিস করেছেন, তবে এখনও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তারা।
এ বিষয়ে নিশ্চয়তাও রয়েছে। কেননা, পিয়ংচ্যাঙ গেমসের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি লি হি-বিওম এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োহাপকে উত্তরের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের কথা শুনে আনন্দিত প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।
‘এটি নতুন বছরের একটি উপহারের মতো’- বলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এএসআর