ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শ্রীলংকায় বৌদ্ধ-মুসলিম উত্তেজনা, ১০ দিনের জরুরি অবস্থা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
শ্রীলংকায় বৌদ্ধ-মুসলিম উত্তেজনা, ১০ দিনের জরুরি অবস্থা শ্রীলংকায় বৌদ্ধ-মুসলিম উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারির পর। ছবি-সংগৃহীত

মধ্যাঞ্চলীয় কান্দি জেলায় বৌদ্ধ-মুসলিম উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর শ্রীলংকা সরকার ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

শ্রীলংকা সরকারের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা মঙ্গলবার এ খবর জানায়।

মুখপাত্র দয়াশিরি জয়াসেকারা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘ এই সংঘাত সহিংসতা যাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নিয়ে দেশের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্যই মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ১০ দিনের  জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

’’                           

এছাড়া ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যারা অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন উস্কানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

কান্দি জেলায় সোমবারের উত্তেজনা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটার পর সেখানে সৈন্য ও এলিট পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়। ঔইদিন কান্দি শহরে এক সংখ্যালঘু মুসলমানের দোকানে উগ্রপণ্থি বৌদ্ধরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পরপরই সেখানে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

খবরে বলা হয়, ভারত মহাসাগরীয় বৌদ্ধপ্রধান দ্বীপ দেশটির কান্দি জেলায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এখন ব্যাপক সংঘাত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বৌদ্ধদের ধর্মান্তর করে মুসলমান বানানোর কারণেই এই বিরোধের সূত্রপাত।

মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থি বৌদ্ধদের অভিযোগ, মুসলমানরা বিভিন্নভাবে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সৌন্দর্য হানি করছে। এ নিয়ে গত এক বছর ধরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা চলমান রয়েছে।

মিয়ানমার থেকে প্রাণ হাতে পালিয়ে যাওয়া কিছু মুসলমান শ্রীলংকায় আশ্রয় প্রার্থনা করায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ গোঁড়া বৌদ্ধদের একটা অংশ। এরা কোনোভাবেই শ্রীলংকায় রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি মেনে নিতে রাজি নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।