‘ফুয়েগো’ নামে আগ্নেয়গিরিটি রোববার (৩ জুন) জেগে উঠলে লাভার উদগিরণ হতে থাকে। ছড়িয়ে পড়তে থাকে ছাই।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলেছে, এল রোডেও নামে একটি গ্রামের ওপর দিয়ে আগ্নেয়গিরির লাভার নদী বয়ে গেছে যেন। এতে সেখানকার একটি বাড়ি ও তার ভেতরে থাকা লোকজন পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ছাইয়ের কারণে রাজধানীর ল্য অরোরা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো ‘ফুয়েগো’র এ ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি বাহিনী তৎপর হয়েছে।
স্থানীয় প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা সার্জিও কাবানাস বলেন, লাভার নদীতে এল রোদেওর জনজীবনে বিভীষিকা নেমে এসেছে। পুড়ে মরেছে মানুষ। আহত হয়েছে আরও অনেকে। দুর্ভাগ্যবশতঃ লা লিভার্তাদ গ্রামে আমরা পৌঁছাতেই পারিনি এই ভয়াবহ লাভার কারণে। সম্ভবত সেখানেও লোকজন প্রাণ হারিয়েছে।
আক্রান্ত এলাকা থেকে নিরাপদে সরে আসা লোকজন বলছেন, অনেকেই লাভার চক্রে আটকা পড়ে বেরোতে পারেননি। অনেকেই হয়তো বাড়িঘরে পুড়ে মরেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আগ্নেয়গিরিতে সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে অগ্ন্যুৎপাত হয়। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে এর লাভা-ছাই ছড়াতে থাকে।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এবার এই অগ্ন্যুৎপাতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। চলাচলের ক্ষেত্রে লোকজনকে মাস্ক পরে রাস্তায় নামার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এইচএ/