মার্কিন জাতীয় হারিকেন কেন্দ্র (এনএইচসি) বলছে, ‘ডোরিয়ান’ পৃথিবীপৃষ্ঠে এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড়।
এরই মধ্যে ঝড়টির গতিপথে থাকা লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
‘ভয়ঙ্কর বিপদজনক’ হয়ে ওঠা ঝড়টি স্থানীয় সময় রোববার ১২টা ৪০ মিনিটে বাহামার অ্যাবাকো দ্বীপে আঘাত হানে বলে জানিয়েছে এনএইচসি।
স্থানীয় লোকজন শক্তিশালী এ ঝড়ে ক্ষতির কিছু ভিডিওচিত্র পোস্ট করেছে। এতে দেখা যায়, বিভিন্ন ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে আছে এবং পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট।
বাহামায় তাণ্ডব চালানোর পর ঝড়টি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানেও সোমবার নাগাদ ঝড়টি সরাসরি আঘাত হানতে পারে।
এদিকে রোববার এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, শক্তিশালী ঝড় ডোরিয়ানের বিষয়টি তিনি মনিটর করছেন। এজন্য তার পূর্বনির্ধারিত পোল্যান্ড সফরও বাতিল করা হয়েছে। সেখানে তার প্রতিনিধি হিসেবে ভাইস প্রেসিডিন্ট মাইক পেন্সকে পাঠানো হচ্ছে।
ট্রাম্প স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
ঝড়টিকে ফ্লোরিডার সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আখ্যা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, ১৯৯২ সালে আঘাত হানা ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন ‘অ্যান্ড্রু’র চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে ‘ডোরিয়ান’। সে সময় ৬৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়, ক্ষয়ক্ষতি হয় ৬৩ হাজারের বেশি ঘরবাড়ির। যদিও ‘ডোরিয়ান’ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে ঝড়টি বিভিন্ন সময়ে তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। প্রথমে ঝড়ের আঘাতস্থল পুয়োর্তে রিকোর কথা বলা হলেও পরে তা পরিবর্তন হয়ে যায়। ধীরগতি প্রতিনিয়ত এর গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশি শক্তি বাড়িয়েছে। সবশেষ যা সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ৫-এ পৌঁছেছে।
এছাড়া ক্যাটাগরি ১ ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ৭৪-৯৫ মাইল, এতে ছোটখাটো ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্যাটাগরি ২ ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ৯৬-১১০ মাইল, এতে গাছপালা উপড়ে যেতে পারে, ভাঙতে পারে জানালা। ক্যাটাগরি ৩ ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ১১১-১২৯ মাইল, এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গাছপালা উপড়ে যেতে পারে, ভাঙতে পারে জানালা। আর ক্যাটাগরি ৪ ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ১৩০-১৫৭ মাইল, এতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে ঘরের ছাদ উড়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এসএইচ