মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের তদারকিতে অভিনব ওই লঞ্চারের পরীক্ষা চালানো হয়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কিম জং উন বলেন, যুদ্ধকালীন পরতিস্থিতিতে লঞ্চারটি কীভাবে কাজ করবে এ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তা যাচাই করা হলো।
সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামীতে আর কী করণীয় সে বিষয়েও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ এ নেতা।
কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে চলতি মাসের শেষের দিকে পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার সদিচ্ছা পোষণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে এ লঞ্চার পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত একাধিক উদ্দেশ্য সামনে রেখেই উত্তর কোরিয়া একের পর এক এ ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছে। নিজেদের কারিগরী উৎকর্ষ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রকেও কিছু বার্তা পৌঁছে দিতে চায় দেশটি। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বাস্তবসম্মত আলোচনায় না এলে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান কী হবে, ওয়াশিংটনকে তা বোঝানোও এর উদ্দেশ্য।
এদিকে এর আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো নিয়ে কিম জং উনের ‘অনুরাগী’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, এসব পরীক্ষা কোনো চুক্তি ভঙ্গ করে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করার পর ট্রাম্প বলছেন, জাতিসংঘের বিধি অনুসারে উত্তর কোরিয়ার এসব স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এইচজে/এইচএ