বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও স্পেন ওই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে পশ্চিম তীর দখল ‘আন্তর্জাতিক আইনের ঘোরতর লঙ্ঘন হবে’ বলে ইসরায়েলের প্রতি হুঁশিয়ারি জানানো হয়। এতে বলা হয়, পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জর্ডান উপত্যকা ও উত্তরাংশের মৃত সাগর (ডেড সি) উপকূল দখলে নেতানিয়াহুর ঘোষণায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও স্পেন।
‘এটি কার্যকর হলে, তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের ঘোরতর এক লঙ্ঘন। এর ফলে ১৯৬৭ সালের চুক্তি অনুসারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টি হুমকির মুখে পড়বে এবং এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও কঠিন হয়ে যাবে। ’
বিবৃতিতে সম্প্রতি ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলার ঘটনারও নিন্দা জানানো হয়। এতে বলা হয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের অধিকারের ব্যাপারে আমরা সচেতন এবং সম্প্রতি গাজা থেকে সেখানে রকেট হামলারও নিন্দা জানাই।
১৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের পুনর্নির্বাচনকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক টেলিভিশন বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, পুনরায় ক্ষমতায় এলে তার সরকার পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। এ প্রতিশ্রুতিকে নির্বাচনী ‘ভাঁওতাবাজি’ হিসেবে অভিহিত করছে নেতানিয়াহুর বিরোধীরা।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণায় ফিলিস্তিন, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব বিশ্বের দেশগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাশিয়াও নেতানিয়াহুর এ ঘোষণার বিরোধিতা করে। এটি এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াবে বলে হুঁশিয়ারি জানায় তারা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সাক্ষাতের আগে আগে রাশিয়ার দিক থেকে এ মন্তব্য আসে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এ ইস্যুতে নীরব রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এইচজে/এইচএ