মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাশিয়ার সোচিতে তারা এ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশিয়া ও তুরস্ক সিরিয়ার ভূখণ্ডে কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার অনুমতি দেবেনা।
পাশাপাশি তিনি নতুন করে ১৫০ ঘণ্টার সময়সীমা ঘোষণা করেন, যার মধ্যে কুর্দি জনগণ প্রতিরক্ষা ইউনিটের (ওয়াইপিজি) যোদ্ধারা তুর্কি সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরে যাবেন।
তিনি বলেন, বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে ১৫০ ঘণ্টা সময় শুরু হবে, যার মধ্যে ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী ও তাদের অস্ত্রশস্ত্র ৩০ কিলোমিটার স্থান থেকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে।
তিনি জানান, ১৫০ ঘণ্টার সময়সীমার পরে তুরস্ক ও রাশিয়া যৌথভাবে তুরস্কের বর্তমান অভিযানের স্থানের পূর্ব-পশ্চিমের ১০ কিলোমিটার জুড়ে টহল দেবে।
এরদোগান জানান, সব ধরনের সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় উভয়দেশ যৌথভাবে কাজ করবে।
এদিকে, পুতিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাশিয়া তুরস্কের অভিযানের কারণ বুঝতে পেরেছে। তবে তিনি সন্ত্রাসের অনুকূল পরিস্থিতির প্রতিরোধ এবং সিরিয়ার ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায় তার প্রত্যয় প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সিরিয়াকে সব ধরনের অবৈধ বিদেশি সামরিক উপস্থিতি থেকে মুক্ত করতে হবে।
উভয় দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভেরভ এবং তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুশওলু উপস্থিত ছিলেন।
নতুন এ সময়সীমার আগে, মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের উদ্যোগে তুরস্ক ও ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি হয়। ১২০ ঘণ্টার ওই যুদ্ধবিরতি মঙ্গলবার সমাপ্ত হয়।
গত ৯ অক্টোবর তুরস্ক উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অভিযান শুরু করে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ নিয়ে তুরস্ক অপারেশন পিস স্প্রিং নামে এ অভিযান পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এবি/এসআরএস