জেনারেল সোলেমানির জানাজায় ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় এ নেতার জানাজা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, জানাজা শেষে সোলেমানিসহ নিহত অন্য ইরানি কর্মকর্তাদের মরদেহ আজাদি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে সোলেমানির মরদেহ নেওয়া হবে ধর্মীয় নগরী কোমে। সেখানে জানাজা শেষে মঙ্গলবার তার মরদেহ নেওয়া হবে জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে। সেখানেই শেষজানাজার পর দাফন করা হবে ইরানিদের বীর কমান্ডারকে।
গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন জেনারেল সোলেমানি, ইরাকের হাশদ আশ-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিসসহ মোট ১০ জন। তাদের মরদেহ শনিবার ইরাকের কাজেমাইন, বাগদাদ, কারবালা ও নাজাফ শহরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে আলাদা আলাদা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন লাখ লাখ ইরাকি। পরে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে তেহরান পৌঁছায় সোলেমানিসহ নিহত ইরানিদের মরদেহ।
এদিকে, তেহরানে সোলেমানির জানাজায় কী পরিমাণ মানুষ অংশ নিয়েছে তা শতভাগ নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এ সংখ্যা ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনির (রহ.) জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে বেশি হবে। ৩০ বছর আগে তার জানাজায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
আরও পড়ুন >> বাবার মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে যায়নি, ট্রাম্পকে সোলেমানির মেয়ে
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
একে