মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশটির শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, সোলেমানি হত্যাকাণ্ডে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকায় ইরাকে নিযুক্ত কয়েকজন জার্মান সেনাকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেবে জার্মানি।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানেগ্রেত ক্র্যাম্প ক্যারেনবাউয়ের এক চিঠিতে জানান, ইরাকে নিযুক্ত ১৩০ সেনা সদস্যের মধ্যে প্রায় ৩০ সেনাকে সরিয়ে পার্শ্ববর্তী জর্দান ও কুয়েতে পাঠানো হবে।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক প্রশিক্ষণসহ সমরাস্ত্র ইরাককে দিয়ে সহায়তা করে জার্মানি। তবে, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় সোলেমানির মৃত্যুর পর ইরাকি সংসদে ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আইএস বিরোধী বিদেশি সেনাদের ইরাক ছাড়তে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাস বলেন, স্বাভাবিকভাবেই ইরাক সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাবো আমরা। তবে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ইরাক থেকে আন্তর্জাতিক সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হলে ওই অঞ্চলে আইএস আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এবং এতে ইরাকে ‘বিশাল অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি হতে পারে।
তবে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি সাময়িক উল্লেখ করে চিঠিতে মন্ত্রীদ্বয় বলেন, সেনা আবারও নিযুক্ত করা সম্ভব হলে প্রশিক্ষণ চালু করা হবে।
জার্মান সেনারা যেসব ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ইরানের প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উল্টো প্রশিক্ষণদাতা সেনাদের হামলা করতে পারেন। মূলত এ আশঙ্কায় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এফএম