ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে ট্রাম্পের হুমকির ওপর কড়া নজর রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে ট্রাম্পের হুমকির ওপর কড়া নজর রাশিয়ার

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট (সম্প্রতি নির্বাচিত) ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে সামরিক পদক্ষেপ নাকচ করতে অস্বীকার করায় রাশিয়া নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

তিনি বলেন, আর্কটিক হচ্ছে রাশিয়ার জাতীয় ও কৌশলগত স্বার্থের ক্ষেত্র।

তাই ক্রেমলিন সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আগ্রহী।

ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের পর গোটা ইউরোপও ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

গ্রিনল্যান্ড বা পানামা খাল দখলের জন্য তিনি সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন কী-না সম্প্রতি এমন প্রশ্ন রাখা হয় ট্রাম্পের কাছে।  

ট্রাম্প বলেন, ‘না, আমি আপনাকে এই দুটির কোনোটির বিষয়েই আশ্বস্ত করতে পারছি না। কিন্তু আমি এটুকু বলতে পারি যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের এগুলো প্রয়োজন। ’

স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন রাডার ঘাঁটি রয়েছে। আর ওয়াশিংটনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, দ্বীপটি চীনা ও রাশিয়ান জাহাজগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মুক্ত বিশ্বের সুরক্ষার কথা বলছি।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান কাজা ক্যালাস জোর দিয়ে বলেছেন, আমাদের গ্রিনল্যান্ডের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। এদিকে জার্মানির ওলাফ স্কোলজ স্পষ্ট করে বলেছেন, সীমান্ত জোর করে সরানো যাবে না।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ট্রাম্পের দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক এবং অন্যান্য দেশের বিষয়। তবে রাশিয়া তার মন্তব্যকে ঘিরে বরং নাটকীয় পরিস্থিতি দেখছে। আমরা আর্কটিক জোনে উপস্থিত আছি, এবং সেখানে উপস্থিত থাকব।

গ্রিনল্যান্ডে প্রায় ৫৬ হাজার লোক বাস করে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ডেনিশ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এই অঞ্চলে যথেষ্ট অব্যবহৃত খনিজ ও তেল সম্পদ রয়েছে।

২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মেয়াদে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এরপর তিনি বারবারই এই ধারণা উত্থাপন করে আসছেন।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মার্কিন মিত্র ডেনমার্ক স্পষ্ট করে জানিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। আর অঞ্চলটির মালিক মূলত এর বাসিন্দারা।

অবশ্য গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগিদ ডেনমার্কের কাছ থেকে তার দেশকে স্বাধীন করার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। তিনিও স্পষ্ট করে বলেছেন যে অঞ্চলটি বিক্রির জন্য নয়। বুধবার তিনি কোপেনহেগেন সফর করেন।

 সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
ইইউডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।