শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
লাভরভ বলেন, ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন ইরান সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৬টি অত্যাধুনিক স্টিলথ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান অবস্থান করছিল।
আমাদের কাছে তথ্য আছে যে, মার্কিনঘাঁটিতে হামলা চালানোর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলার আশঙ্কা করছিল ইরান। কিন্তু, তারা ঠিক জানতো যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে হামলা চালাবে। কিন্তু, ওই ধরনের পরিস্থিতিতে (কোনো দেশ, যেমন ইরানের ওপর) কী ধরনের চাপ তৈরি হয় আমি সে কথাই বলতে চাইছি। পরিস্থিতির চাপেই ইরান ভুলবশত ইউক্রেনের যাত্রিবাহী প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে বলে অভিমত রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
সের্গেই লাভরভ আরও বলেন, আমি এই ঘটনার পক্ষে কোনো অজুহাত খাড়া করছি না। কিন্তু বলতে চাইছি ঠিক ওই দিনের উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা। সেদিনের বাস্তবতা দিয়েই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ধংসের ঘটনাটাকে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
লাভরভ আরও বলেন, ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেন ধংসের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। এটি একই সাথে একটি রক্তনিশান, যা আমাদের বলে, ওই অঞ্চলে চলমান উত্তেজনা ও হুমকি নিরসনের কথা। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাড়তে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলেমানির গুপ্তহত্যার তীব্র সমালোচনা করেন লাভরভ। তিনি এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
জানুয়ারির ৮ তারিখ তেহরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেনটি ভূপাতিত করে ইরান। এতে পাইলট, ক্রুসহ ওই প্লেনে থাকা ১৭৬ আরোহীই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ইরানি নাগরিক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এইচজে