ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ধান ক্ষেতে ঐতিহ্যের মসজিদ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৭
ধান ক্ষেতে ঐতিহ্যের মসজিদ! মিঠাপুকুর মসজিদ, ছবি: বাংলানিউজ

মিঠাপুকুর (রংপুর) থেকে ফিরে: দূর থেকে স্থানীয়রা আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিলেন, মসজিদটা ওই দিকে। একটা প্রাচীন মসজিদের খোঁজে সড়ক, মহাসড়ক, বাঁক পেরিয়ে এতো দূর আসা। দেখিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও চোখ মেলে কিছু গেলো না দেখা!

এবার অপেক্ষা করছিল মেঠো পথ। সে পথ ধরে এগোতেই ধান ক্ষেতের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেই মসজিদ।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত স্থাপনাটির নাম মিঠাপুকুর মসজিদ, স্থানীয়দের ভাষায় লাল মসজিদ।
 
রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক ধরে হাতের বাঁ পাশে খানিকটা ভেতরে গড়ের মাথা নামক স্থানে এর অবস্থান। জায়গাটি রংপুর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ঢাকা থেকে দূরত্ব অন্তত ৩০৮ কিলোমিটার। ১৮০২ সালে (হিজরি ১২১৭) শেখ মোহাম্মদ সাবেরের ছেলে শেখ মোহাম্মদ আসার (Sheikh Mohammed Aser) এটি নির্মাণ করেন। মিঠাপুকুর মসজিদ নামফলক, ছবি: বাংলানিউজ
 
তবে নির্মাণশৈলীতে এটিকে মুঘল মসজিদ বলে মনে হয়। এর দেয়ালে আরও আছে মুঘল স্টাইলের আর্চ এবং কার্নিশ ও গম্বুজের গোড়ায় মারলন নকশা। তবে মসজিদের সমতল ছাদ ও এ দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে সামনের চত্বরে ওঠার মুখে গড়া চৌচালা আকৃতির গেট সুলতানি আমলের নির্মাণ শৈলীর কথা মনে করিয়ে দেয়।

দেয়ালের অভ্যন্তরে খোলা আঙ্গিনা। চার কোনায় পিলারের ওপর চারটি মিনার। মিনারগুলো আট কোনাকারে নির্মিত; যা ছাদের কিছু ওপরে উঠে গম্বুজ আকৃতিতে শেষ হয়েছে। রয়েছে সুবিশাল তিনটি গম্বুজ।
 
প্রবেশের জন্য রয়েছে কারুকার্য খচিত তিনটি প্রবেশ দ্বার। প্রবেশদ্বারের দুই পাশের পিলারের ওপরও রয়েছে ছোট দুটি মিনার। সামনের অংশে উৎকীর্ণ কারুকাজ এটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। ভেতরে সামনের দরজা বরাবর পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব।
মিঠাপুকুর মসজিদ, ছবি: বাংলানিউজ
যদিও নির্দিষ্ট কোনো অজুখানা নেই। টিউবওয়েল চেপে পানি নিয়ে অজু করেন মুসল্লিরা। নামাজের ওয়াক্ত ছাড়া বেশিরভাগ সময় রাখা হয় বন্ধ।

চারপাশে ধান ক্ষেত, তারই মাঝে মসজিদ। কী অপরূপ দৃশ্য! বলেন, পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়া এক কিশোর। স্থানীয়দের কাছে ধান ক্ষেতের মাঝে ঐতিহ্যের মসজিদে নিরিবিলি প্রার্থনার কেন্দ্র এটি। এখানে এলেই ভালো হয়ে যায় মন। আর ইবাদতে যেন আরও প্রশান্তি!
 
এর রক্ষণাবেক্ষণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান মুসল্লিদের। তাদের মতে, সাধারণ স্থাপনা অবহেলায় বিনষ্ট হলে কেবল ক্ষতি হয় গুটি কয়েক মানুষের। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতি পুরো বিশ্বের।

আরও পড়ুন:
ও ধান ভানরে...
চাল ভাজা ছাতুর সংসারে ভাবনাহীন ভবিষ্যৎ
জন্মভিটাতেই অস্তিত্ব সংকটে বেগম রোকেয়া
দুই ভাইয়ের বিরোধে আ'লীগের সর্বনাশ!
মন্ত্রী হবেন টিপু সেই প্রভাব ভোটে!
** টিপুর বিপক্ষে এমদাদেই ভরসা
একবার খেলে ভোলা যায় না হাড়িভাঙার স্বাদ
ঈদে ট্রেনেই নিশ্চিন্ত যাত্রা
‘এরশাদ কান্দিলে ভোট আছে কিসু’
‘লাইসেন্স দেন-ট্যাক্সও বাড়ান, মারেন শুধু বিড়ি শ্রমিকরে’
মিঠাপুকুর আ’লীগে গ্রুপিং, বিভক্ত ভোটাররা!
‘সুষ্ঠু ভোট হলে এমপি জাপার’
বিএনপির অফিস এখন আম-কলার আড়ৎ!
হাইওয়েতেও ইফতারির পূর্ণ আনন্দ!
বাংলাদেশ জিতবে আশা গ্রামবাসীর! 

 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৭
আইএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।