বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ার লাইন্স হজযাত্রীদের আনা-নেওয়া করবে। এর মধ্যে বিমান পরিবহন করবে ৬৩ হাজার ৫০০ হজযাত্রী।
এ দিকে মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্মমন্ত্রীর কক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের নেতাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হাজীদের ট্রলি ব্যাগ বানাতে হাবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাইদুর রহমান এমপি, আবদুল আউয়াল এমপি, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল জলিল, যুগ্ম-সচিব হাফিজ উদ্দিন, হাব নেতা তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ড. আবদুল্লাহ আল নাসের ও রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
কিন্তু নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী হাব নেতারা ট্রলি ব্যাগ তৈরিতে এজেন্সি মালিকদের টাকা দিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত জানালেও সভায় হজ নীতিমালার কথা বলে হাবের ওপর এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্বের প্রেক্ষিতে বুধবার হাবের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত বিষয়ে বাংলানিউজকে হাবের কোষাধ্যক্ষ মাওলানা ফজলুর রহমান মুন্সী জানান, ‘হাজীদের ট্রলি ব্যাগ এজেন্সি কর্তৃপক্ষই ট্রলি ব্যাহ সরবরাহ করবে। হাব সরবরাহকৃত ব্যাগটি মানসম্পন্ন কিনা সেটা তদারকি করবেন। সেই সঙ্গে হজযাত্রীরা যেন ট্রলি ব্যাগ পান সেটাও নিশ্চিত করবেন। ’
উল্লেখ্য যে, বেশ কয়েকবছর ধরে পরিবহন, চেকিং ও বহনের সুবিধার্থে হাজীদের এক সাইজের লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তাদেরকে সে অনুযায়ী লাগেজ সরবরাহ করা হয়।
তবে ২০১৬ সালের হজ মৌসুমে হাজীদের ট্রলি ব্যাগ বানাতে হাবের গত কমিটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে নবনির্বাচিত হাব নেতারা এ বছর ট্রলি ব্যাগ বানানোর দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তার পরও তাদের ওপর হাজীদের ট্রলি ব্যাগ সরবরাহের দায়িত্ব দিলে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
এমএইউ/