মুনাজাত করছেন চীনের মুসলিমরা। ছবি : সংগৃহীত
চীনের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজু। এটি চীনের প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর অন্যতম। অপর দুইটি হলো কুনমিং ও সাংহাই। ৭৪ হাজার ৩৪৪ কি.মি আয়তনের গুয়াংজুর মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। মূল জনগোষ্ঠী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এর মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কতো তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
গুয়াংজুর রয়েছে ২২০০ বছরের সমৃদ্ধ অতীত। গুয়াংজু ইসলামের প্রবেশদ্বার।
তাঙ বংশের শাসনামলে (৬১৮-৯০৭) আরব বণিকদের মাধ্যমে এতদঞ্চলে ইসলামের আগমন ঘটে। সপ্তম শতাব্দীতে আরব বণিকগণ গুয়াংজুতে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে, বিশেষত হুয়াইসেং (Huaisheng Temple) এলাকায় স্থায়ী আবাস গড়ে তুলেন। পাশাপাশি চীন থেকে বিভিন্ন পণ্য আরব এবং আরব থেকে চীনে আমদানি ও রপ্তানির ব্যবস্থা করেন। ব্যবসায়িক কারণে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আরবদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে এবং অনেকে চীনা মেয়েদের পাণিগ্রহণ করে গুয়াংজুতে স্থায়ী হয়ে যায়।
ইসলামের তাওহিদ-বিশ্বাস, পরকালীন চিন্তা, মানবতা, উদারতা ও সহনশীলতার শিক্ষা স্থানীয়দের আকৃষ্ট করে। ফলে তারা ধীরে ধীরে ইসলামের ছায়াতলে জমায়েত হতে থাকে।
আরব বণিকরা গুয়াংজু থেকে চীনের অন্যান্য প্রদেশে বিশেষত কুনমিং, সাংহাই, বেইজিং ও জিংজিয়াং এ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে থাকে। বণিকগণ ছিলেন ইসলামের মুবাল্লিগ (প্রচারক) ও দাঈ। তাঁরা যে অঞ্চলে ব্যবসা করতে গেছেন, সেখানে ইসলামের বিস্তৃতি ঘটে।
গুয়াংজুতে বেশ কিছু মসজিদ রয়েছে। তবে তিনটি মসজিদ বেশি প্রসিদ্ধ।
লেখক: গবেষক-কলামিষ্ট, আলেম এবং সাবেক অধ্যাপক, ওমরগণী এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এমএমইউ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।