কাহিনী সংক্ষেপ:
১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।
পূর্ব প্রকাশের পর
মাইক ও জ্যাক আবারও বৈঠা বাইতে শুরু করে। ওরা উইলো গাছের নিচে বালুময় ছোট্ট খাড়িতে এসে পৌঁছে। জ্যাক লাফিয়ে নেমে নৌকাটা টানতে শুরু করে। অন্যরাও লাফিয়ে নামে এবং চারপাশে তাকায়।
আমরা সত্যি সত্যি এখানে, আমরা সত্যিই এখানে, সত্যিই এখানে! নোরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে চিৎকার শুরু করে। ‘আমরা পালিয়েছি। আমরা এই গোপন দ্বীপে থাকতে এসেছি। ’
এদিকে এসো, নোরা, একটা হাত দাও, জ্যাক আদেশ করে। রাতের আগে আমাদের অনেক কিছু করতে হবে, তুমি তো জানোই।
নোরা সাহায্যের জন্য ছোটে। নৌকাটা খালি করতে হবে এবং সেটা অনেক কঠিন একটা কাজ। কিছু সময়ের জন্য সব জিনিসপত্র উইলো গাছের নিচে নামিয়ে রাখা হয়। এই সময়ে শিশুরা খুব পরিশ্রান্ত আর তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে। ওহ্, একটু পানি যদি পাওয়া যেত! মাইক আর্তনাদ করে ওঠে।
পেগি, তোমার কি ঝরনার পথটা মনে আছে? জ্যাক জিজ্ঞেস করে। কাজটা করতে চাও? ঠিক আছে, শুধু যাবে আর কেটলিটা ভরে নিয়ে আসবে, পারবে না? আমাদের সবারই পান করা দরকার, সেই সঙ্গে কিছু একটা খেতেও হবে!
পেগি পাহাড়ের দিকে ছোটে। অন্যপাশে নেমে ঝরনার কাছে যায়। সে কেটলিটা ভরে ফিরে আসে। অন্যরা পান করার জন্য এনামেলের মগ নিয়ে তৈরি হয়। মাইকও খাবার খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সে রুটি, কয়েকটা গাজর, একটুকরো পনির, আর একটা কেক বের করে।
কি মজার খাবার! সবার সেই কি যে ফিকফিক হাসাহাসি আর বকবকানি! তারপর রোদের আলোয় ফিরে গিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকা। কঠোর পরিশ্রমে সবাই খুব ক্লান্ত। একে একে সবাই-ই ঘুমিয়ে পড়ে।
প্রথমে জ্যাকই জেগে ওঠে। সে উঠে বসে। এই! সে বলে। এটা করা ঠিক হয়নি! রাতের জন্য বিছানা বানাতে হবে এবং আরামে ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে! আমাদের ডজন ডজন কাজ পড়ে আছে! সবাই, কাজে, এসো, কাজে!
কিন্তু এমন একটা মজার জায়গায় এসে কাজ করতে কে মন খারাপ করবে? পেগি ও নোরা লেকের পানিতে মগ আর ডিস ধুয়ে রোদে শুকাতে দেয়।
ছেলেরা তাদের সব জিনিসপত্র ভালো একটা জায়গায় নিয়ে রেখে রেইন কোটটা দিয়ে ঢেকে দেয় যাতে বৃষ্টি এলে ভিজে না যায়। কালকে ওরা ওদের বাড়ি বানাবে।
এবার বিছানাপাতি আর ঘুমাবার একটা জায়গা খুঁজে বের করতে হবে, জ্যাক বলে। রহস্য দ্বীপে প্রথমবার ঘুমাতে কি খুব মজা হবে না!
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এএ