ভূত-দেবতা সেরালিকে ডেকে বললো, সেরালি, তুই আর চেঁও মেঁও করিস না তো। আমি থাকতে তোর এতো চিন্তা কীসের? আমার কাছে এসে তারাই খালি হাতে ফেরত যায়, যারা আমার দেওয়া নিয়ম মানতে পারে না, আমার কথার অমান্য করে আর প্রয়োজনে টাকা খরচ ইতঃস্তত করে, তারা।
সেরালি কৃতজ্ঞচিত্তে আবেগ-অভিমানে দেবতাকে বললো, হে আমার প্রাণপ্রিয় দেবতা, আমি এতদিন কেন যে তোমার সন্ধান পাইনি, তোমার মতো দয়ালু দেবতাকে চিনিনি; নিশ্চই আমি পাপী, হতভাগা। কেন আমি এভাবে ঠকে ঠকে এসেছি। আমি যদি আগে তোমার সন্ধান পেতাম তা হলে তো এতদিনে আমি সন্তান দিয়ে আমার ঘরবাড়ি সব ভরে ফেলতে পারতাম। আমাকে আজ নিঃসন্তান হয়ে পথে-ঘাটে ঘুরে মরতে হতো না।
আর মানুষের মুখে এত অপ্রিয় কথা শুনতে হতো না। ছিঃ কত বোকা ছিলাম আমি, ছিঃ!
দেবতা বললেন, তোর আশা পূর্ণ হোক।
সেরালি অদৃশ্য দেবতার উদ্দেশ্যে উপরের দিকে মুখ তুললো। সে বারবার হাত জোড় করে কুর্নিশ করতে করতে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলো। সেরালির মনে বেজায় আনন্দ।
চলবে….
***ভূতপাহাড়ের ভূত-দেবতা | বিএম বরকতউল্লাহ্
***সেরালি | বিএম বরকতউল্লাহ্
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এএ