চোখ
ঢাকা: আমরা খালি চোখে যা দেখি তা কি সবসময় সত্যি হয়? হয় না। কারণ, চোখে দেখা ছবি বা দৃশ্যে অনেক সময় ভিন্নতা যোগ করে মস্তিষ্ক। আমাদের অভ্যাস, স্মৃতি, পারিপাশ্বিকতা ইত্যাদির প্রভাবে মস্তিষ্ক এধরনের ভিন্নতা সৃষ্টি করে।
আমরা যা দেখছি, বাস্তবের সঙ্গে তার ফারাককে বলা হয় ‘অপটিক্যাল ইল্যুশন’ বা দৃষ্টি বিভ্রম।
অপটিক্যাল ইল্যুশন সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে কিছু ছবি দেখে নেওয়া যাক।
এ ছবিগুলো দেখলে এবং এদের রহস্য সম্পর্কে জানার পর ‘নিজের চোখকে কতোটা বিশ্বাস করা উচিৎ’ তা নিয়ে আবার ভাবতে বসতে হবে। বাক্স দু’টি কি একই আকৃতির? ‘A’-এর তুলনায় ‘B’-কে যেন একটু বড় মনে হচ্ছে। আসলে এটি এক প্রকার দৃষ্টি বিভ্রম। ‘A’ এবং ‘B’ উভয়ের ক্ষেত্রফল একই। বিশ্বাস না হলে স্কেল দিয়ে মেপে দেখতে পারো। বাক্সগুলোর বিশেষ প্যাটার্ন চোখে বিভ্রম সৃষ্টি করায় তা অসমান দেখাচ্ছে। ছকের মাঝখানের ঘরগুলো ঠিকঠাকই আছে। কিন্তু দু’পাশের ঘরগুলোর যাচ্ছেতাই অবস্থা। খুব সহজেই দু’পাশের ঘরগুলো ঠিক করে ফেলা সম্ভব। এক দৃষ্টিতে মাঝের ঘরগুলোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকো। একটু পরেই দেখবে দু’পাশের ভাঙাচোরা ঘরগুলো ঠিক হয়ে গেছে। মাঝের লম্বা আয়তক্ষেত্রটি লক্ষ্য করো। বলতে হবে, কালো রঙের এ আয়তক্ষেত্রটির ডান দিকটা বেশি গাঢ়, নাকি বাঁ দিকটা? মজার ব্যাপার হলো, সম্পূর্ণ আয়তক্ষেত্রটির রঙের মাত্রা একই। পটভূমির রঙের ফারাকের কারণেই আয়তক্ষেত্রটির ডানের ও বাঁয়ের রঙে পার্থক্য দেখাচ্ছে। চিত্রের আনুভূমিক রেখাগুলোকে বাঁকা মনে হচ্ছে। আসলে রেখাগুলো একদম সমান্তরাল। এটাকে বলা হয়, ‘ক্যাফে ওয়াল ইল্যুশন’ বা ক্যাফের দেয়াল-বিভ্রম। চিত্রে দু’টি কমলা রঙের বৃত্ত আছে। বলতে হবে, কোন বৃত্তটা বড়। বৃত্তগুলোকে অসমান মনে হলেও এদের আকৃতি একই। বৃত্তের পাশের নীল রঙের বৃত্তগুলোর কারণে এমন দৃষ্টি বিভ্রম তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।