আর কোনোমতে যদি অন্যের বাসা না মেলানো যায় তাহলে মাটিতে পড়েই নষ্ট হয় ডিম। বসন্ত কালে এরা সঙ্গীর খোঁজে ডাকে বেশি।
কোকিলেরা ডিম পাড়ে ৪-৬টা। তবে এক বাসায় দুটির বেশি নয়। ডিম পাড়ার আগে ওই বাসার ডিম দুটি অবশ্যই ফেলে দেয়। একাধিক বাসায় দুটি করে ডিম পাড়ে সুযোগ বুঝে। সময় নেয় দুই দিন। এই সময়ের মধ্যে বাসা ম্যানেজ না হলে ডিম ছাড়ে মাটিতে। বোকার হদ্দ কাক, ছাতারে ঠিকই কোকিলের ডিমে তা দেয়, বাচ্চা ফোটায়, লালন-পালন করে।
কোকিলের ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সময় লাগে ৩শ ঘণ্টার মতো। কাক, ছাতারের সময় লাগে আরও বেশি। পুরুষ কোকিল কুচকুচে কালো হয়। তারউপরে হালকা নীলাভ আভা। চোখের রং মরিচের মতো লাল। মেয়ে কোকিল বাদামি। তাতে হালকা কালচে আভা ও সাদা ছিট-ফোট থাকে। ইংরেজি নাম Asian koel। বৈজ্ঞানিক নাম Eudynamys scolopacea।
কোলিলের খাদ্যতালিকায় আছে নানান রকম ফল, কিছু নির্দিষ্ট পোকা ও ডিম। এদের সুরেলা কণ্ঠের জন্য বলা হয় গায়ক পাখি। তাল-লয়-ছন্দে ডাকতে পারে পুরুষ কোকিলই।
চির বাউল স্বভাবের এই পাখিটি বাংলাদেশে ভালোই আছে। কোকিলের মধুর ডাক ঘিরে রয়েছে অনেক কবিতা-গান। এদের বাউল স্বভাবের জন্য ও ফাঁকিবাজির কারণে মানুষ ওদের ‘বসন্তের কোকিল’ নামে উপমা দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের পাখি, শরীফ খান
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এএ