সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের একাধিক গুণী মানুষকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে ইকবালের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতা সুরক্ষা ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
আর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল বিচারপতি শ্যামল সেন।
পুরস্কার প্রতিক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল বলেন, ভারতের মাটিতে এরকম একটি সম্মাননা সবসময়ই গর্বের। ভারত একটা বড় দেশ। আমরা ভারতের প্রতিবেশী। আমাদের বিশ্বাস এখন যেভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে ভারত।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রকৃত বন্ধুরাষ্ট্র। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ যেভাবে ভারতকে সাহায্য করছে, আমাদের পূর্ব ভারতে যেভাবে শান্তি বজায় রয়েছে, তার জন্য শেখ হাসিনা সরকার প্রশংসার দাবি রাখে।
এবার এইচবিএম ইকবাল ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক বিশিষ্টজনকে ‘মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। তারা হলেন- পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ মিতা ব্যানার্জি, বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অব কর্মাস-এর সভাপতি এসজে ফরিদাসুল হাসান, চিকিৎসক ও হাওড়া পুরসভার সাবেক মেয়র ড. রথীন চক্রবর্তী।
এছাড়া এবারই প্রথম লরেটো সেন্ট মেরি গালর্স হাইস্কুল ও শ্রীশ্রী একাডেমী স্কুলকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘মাদার তেরেসা রত্ন’ সম্মাননা পান দুই শিক্ষাবিদ। কলকাতার সেন্ট জেমস স্কুলের অধ্যক্ষ টিএইচ আয়ারল্যান্ড এবং কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রেভারেন্ড ড. জন ফেলিক্স রাজ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
ভিএস/এমএ