আমেরিকার ‘মাউন্ট রাশমোর’ আদলে বানানো হয়েছে তাদের প্যাভেলিয়ানটি। তাতে দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মনীষীর মূর্তি।
বইপ্রেমী অভিজিৎ জানান, তিনি মমতার লেখা চারটি বই নেবেন। তিনি কিনবেন, বাকিগুলো একজনকে আনতে দিয়েছেন। পেছনের টেবিলে তাকাতে বাকি বইগুলো পেয়ে স্বস্তি পেলেন তিনি। স্টলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করছিলেন, গোডাউনে বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বই আসছে না। এবার ম্যাডাম স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য দোলা সেনকে বলতে হবে। তাতে সহমত পোষণ করলেন এককর্মী।
এছাড়া উর্দু কবিতার বই ‘হিম্মত’রও ভালো কাটতি আছে, জানালেন স্টলের কর্মীরা। ‘জাগোবাংলা’র স্টলেও বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘নো এনআরসি, নো সিএএ’ স্লোগান।
‘এনআরসি এবং সিএএ’র ছায়া কিন্তু এবারের বইমেলাজুড়েই। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ানে গৌতম রায়ের লেখা ‘সিএএ’ বিষয়ক বইয়ের ভালো পাঠক আছে। বামসহ ছাত্র যুব সংগঠনগুলোও তাদের নিজস্ব প্রকাশনার স্টলগুলো ‘নো এনআরসি-নো সিএএ’ স্লোগানে রাঙিয়ে রেখেছে। বিভিন্ন প্রকাশনা অন্তত ২০ ধরনের ‘এনআরসি বা সিএএ’ বিষয়ক বই রেখেছে। এর মধ্যে আসমের প্রকাশনা সংস্থায়ও এই বিষয়ে বইগুলোর ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
তবে এবারই প্রথম মমতার বই দেখা গেলো বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ান সময় প্রকাশনীর স্টলে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বইয়ের পাশে মমতার বইও শোভা পাচ্ছে। মতিঝিল থেকে ছাপানো ‘জননেত্রী মমতা ব্যানার্জী’ নামের বইটার যথেষ্ট চাহিদা আছে। স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, রাজনৈতিকভাবে ‘শেখ হাসিনার ভাষণ’ ও মমতার বইয়ের ভালোই বিক্রি হচ্ছে। বই দুইটি এত বিক্রি হবে তা ভাবতে পারিনি।
বইমেলায় দমদম থেকে এসেছেন তন্ময় নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, মমতার বই এখানেও পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ কীভাবে মমতা দিদিকে তুলে ধরেছেন, সেটা পড়ার জন্য একটি বই কিনে ফেললাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
ভিএস/এএটি