প্রায় ২শ’ বছর আগে ১৮২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন অপেরা বলশয় থিয়েটার। মস্কোতে যারাই ঘুরতে যান তাদের কাছেই অবশ্য দর্শনীয়র তালিকায় থাকে এ থিয়েটারের পরিবেশনা।
গত শতক জুড়েই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের কাছে সোভিয়েত রাশিয়া ছিল এক অনুপ্রেরণার মতো। অনেক প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে মস্কোর প্রগতি প্রকাশনার বের করা রুশ শিল্প-সাহিত্য আর নাটকের বই পড়ে। এবারে কলকাতা বইমেলায় রাশিয়াকে থিম কান্ট্রি করায় সেই প্রেমে যেন আরও একটু মধু যোগ হলো।
শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ নয় রুশ সাহিত্য, থিয়েটার ও শিল্প-সংস্কৃতির ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ আছে বাংলাদেশীদেরও। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গেও রাশিয়ার মঞ্চ নাটকের যোগাযোগ লক্ষ্যণীয়। এই তো ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে রাশিয়ার প্রখ্যাত নাট্যদল ‘চেখভ স্টুডিও’ ঢাকা সফর করে। ৭ দিনের ওই সফরে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ও জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় তাদের নাটক। তা মন জয় করেছিল ঢাকার নাট্যকর্মী ও দর্শকদের।
মেলায় দেখা হয় বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিবেদক সুকন্যা আমীরের সঙ্গে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত্বে স্নাতকোত্তর তিনি। রুশ থিয়েটার অ শিল্প-সাহিত্য নিয়ে তুমুল আগ্রহী এ সংস্কৃতি কর্মী। বলশয় থিয়েটারের আদলের কলকাতা বইমেলার মূল গেট হওয়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি।
রুশ শিল্প-সাহিত্যে আগ্রহের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে সুকন্যা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় রুশ সাহিত্যক ও নাট্যকার আন্তন চেকভের লেখার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সূত্রে রাশিয়ার আরও অনেক নাট্যকারকে জানার সুযোগ হয়েছে। মস্কোতে কোনো দিন গেলে বলশয় থিয়েটার ঘুরে দেখার ইচ্ছা আছে আমার। তবে এবারে কলকাতা বইমেলার প্রবেশদ্বার বলশয় থিয়েটারের আদলে হওয়ায় দুধের সাধ ঘোলে মেটালাম।
বইমেলার অন্য প্রবেশদ্বারের মধ্যে ১ নম্বরটির নাম দেওয়া হয়েছে সম্প্রীতি গেট। ঐক্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ দরজা। ৩ নম্বর প্রবেশদ্বার সাজানো হয়েছে ইন্ডিয়া গেটের আদলে। ৬ নম্বরটি বিশ্ব বাংলা গেট। এছাড়া ৯ নম্বর গেট সাজানো হয়েছে বিখ্যাত সেই জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির আদলে।
গত ২৮ জানুয়ারি থেকে কলকাতার সল্টলেকের সেন্টাল পার্কে শুরু হয়েছে ১২ দিনের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বরাবরের মতোই এবারো কলকাতা বইমেলায় আছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। সেখানেও সাহিত্যপ্রেমীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
ডিএন/এইচজে