তবে এবার তার বিরুদ্ধে সর্বসাধারণের কাছে কী জবাব দিতে হবে তা ঠিক করে দিচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মসূচি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমোর কথামতো উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতাসহ রাজ্যের সব জেলার দলের সভাপতিরা, নানান পরিসংখ্যান তুলে ধরছেন দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবাংলা কতটা উন্নত এবং কীভাবে এগোচ্ছে।
তৃণমূল নেতারা বলেছেন, ভারতে অন্যান্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন ৬৪ শতাংশর বেশি, কমেছে মৃত্যুহার। অথচ বিজেপি শাসিত রাজ্যের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এমনকি ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর রাজ্য গুজরাটে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া, ভারতের দিন দিন পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করছে তৃণমূল নেতারা। দলের বক্তব্য, তেলের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর আরও আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে বিজেপি সরকার। এর ফলে সব ধরনের পণ্যের যে মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে তার জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করা হয়েছে।
এছাড়া কেন্দ্রের কল্যাণমূলক রোজগার যোজনাগুলো থেকে পশ্চিমবাংলাকে কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে ধরছে সর্বসাধারণের মধ্যে। মূলত ভোটের স্বার্থ দেখে অন্য রাজ্যগুলোকে সুবিধাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পশ্চিমবাংলাকে সুবিধা বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি, আম্পানের ত্রাণ নিয়ে বিজেপি যতই অভিযোগ তুলুক, পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নেতাদের মতে, রাজ্যে ৭৮ হাজার বুথের মধ্যে মাত্র কয়েকটি জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। তার জবাব মানুষ দেবেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ভোট বাক্সে। ভুল বুঝিয়ে এত সহজে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
ভিএস/এইচএডি