এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই ওই চীনা সংস্থাকে টেন্ডারের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ঠিক ছিল, ভারতে ৪জি পরিষেবা উন্নত করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের যোগান দেবে তারা।
যার জেরে কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ, এবার থেকে সমস্ত টেলিকম যন্ত্রপাতি তৈরি হবে ভারতেই। এ বিষয়ে কোনোভাবেই চীনের দ্বারস্থ হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বিএসএনএলকে নতুন করে টেন্ডার ডাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অপরদিকে দেশটির সড়ক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত চীনা সংস্থাগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করছে মোদী সরকার। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গাদকারি। তিনি বলেন, ‘কোনো চীনা সংস্থাকে আমরা সড়ক তৈরির অনুমতি দেবো না। আমাদের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত স্পষ্ট। এমনকী, কোনো ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে তারা যৌথভাবে যদি কাজ করতে চায়, তাহলেও সেই অনুমতিও দেওয়া হবে না। তবে এর ফলে যাতে প্রকল্পগুলো থমকে না যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গাদকারি বলেন, ‘আমরা চাই ভালো মন্দ যাই হোক দেশিয় সংস্থাগুলো বড় বড় প্রকল্পে কাজ করুক। এর জন্য একাধিক নিয়মনীতি শিথিল করা হচ্ছে। ’
পাশাপাশি ভারতে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও চীনা বিনিয়োগকারীরা অর্থ ঢালতে পারবেন না। এমনই পরিকল্পনা করছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে কংগ্রেসকে পাশে না পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পাচ্ছে মোদী সরকার।
এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বলেছিলেন, ‘চীনের কয়েকটি অ্যাপ বাতিলই যথেষ্ট নয়, চীনকে আরও যুতসই জবাব দিতে হবে। দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ নেবে তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারসহ তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ণ সমর্থন দেবে। একদিকে ভারতে চীন বিরোধী আগ্রাসী মত গড়ে তুলতে হবে, অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়াও জারি রাখতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
ভিএস/এইচএডি