সোমবার (২৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এমন রায় প্রত্যাশা করিনি। আমি আমার মক্কেলদের বলবো, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করতে, তাতে তারা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করি।
এর আগে বিকেলে দেওয়া রায়ে বিডিআর হত্যাযজ্ঞের দায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১৫২ জনের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
বাকি ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও অন্য চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রয়েছে। বাকি ১৪ জনের মধ্যে দু’জন আগেই মারা গেছেন। আর অন্য ১২ জন খালাস পেয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্ত ৬৯ জনের সাজা চেয়ে ফৌজদারি আপিল করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর অন্য ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রয়েছে।
সব মিলিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন ১৮৫ জন।
এদিকে বিচারিক আদালত ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বাকি ২৫৩ জনের মধ্যে ১৮২ জনকে ১০ বছর করে, দুইজনকে ১৩ বছর করে, ৮ জনকে সাত বছর করে এবং চারজনকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এখান থেকে খালাস পেয়েছেন ২৯ জন। অবশ্য ২৮ জন আপিলই করেননি।
এ মামলা রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) হাইকোর্ট বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, মোমতাজ উদ্দিন, ফকির ও মোশাররফ হোসেন কাজল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোশাররফ হোসেন সরদার, শেখ বাহারুল ইসলাম ও জাহিদ সরওয়ার কাজল।
আসামিপক্ষে ছিলেন-অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল বাসেত মজুমদার, মহসীন রশীদ, এস এম শাহজাহান, এ এস এম আবদুল মুবিন, মো. আমিনুল ইসলাম, দাউদুর রহমান মিনা, শামীম সরদার প্রমুখ। আর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন হাসনা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
ইএস/আরআর/জেডএস