মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মন্ত্রী বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার বিচার সম্পন্ন করতে গেজেট হচ্ছে। সম্ভবত আজই তা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে মামলাটির প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বাংলানিউজকে জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে কারাকর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করতে পারছেন না। ফলে মামলাটি শেষ মুহূর্তে গিয়ে ঠেকে আছে। কোনোভাবেই এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মামলাটির বিচার ঢাকা পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী এজলাসে করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম।
তিনি বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় মামলাটির বিচার কারাগারে করার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে শুনেছি। যদি রাতের মধ্যেই এ সম্পর্কীয় গেজেট প্রকাশিত হয় তবে কালই (৫ সেপ্টেম্বর) পুরাতন কারাগারে মামলাটির বিচার সম্ভব হবে।
মামলাটিতে আসামিপক্ষে যুক্তি-তর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে উক্ত কারাগারে কারাবন্দি আছেন। এরপর থেকে মামলার অনেক তারিখ পড়লেও খালেদাকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির করা যায়নি।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
আরএম/জেডএস