রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামিদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতার দুই আসামির সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- আনিছুর রহমান ওরফে বাবুল এবং তার সহযোগী ও বিকাশ এজেন্ট মো. ইয়াসিন তালুকদার।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে চক্রটি বিভিন্ন মানুষের কাছে দুদুকের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছে।
গত ২৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রতারণা করছে একটি চক্র। এর ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালায় র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসপি মুহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, দুদক একটি আস্থার জায়গা, তাই এটিকে কেন্দ্র করে প্রতারণা করে সুযোগটি কাজে লাগিয়েছিল একটি চক্র। তাদের সাত থেকে দশটি গ্রুপ রয়েছে। চক্রটির সদস্য সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন।
২০১৪ সাল থেকে তারা প্রতারণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন সরকারি কর্মচারীর কাছ থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এজন্য তারা বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। এরা কখনও কক্সবাজার, কখনও বরিশাল, কখনও চট্টগ্রাম কিংবা মাদারীপুর থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন।
২০১৪ প্রথমে তারা বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যবেক্ষণ করে। এরপর কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের টার্গেট করে। কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দপ্তরে না পেলে সরকারি টেলিফোন বই থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর তাদের দুর্নীতির মামলার দায়েরের ভয়-ভীতি দেখায় প্রতারক চক্র। এতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়ে তাদেরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করতেন। এভাবেই তারা প্রায় ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএআর/জেডএস