সোমবার (০৬ মে) ঢাকার চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ মাকসুদা পারভিনের আদালত এ দিন ধার্য করেন। পরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চত করেন একই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোহাম্মদ মাফুজুর রহমান চৌধুরী।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল মামলাটির আসামিদের ‘এক্সামিন’ এর জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত আদালতের বিচারক মাকসুদা পারভিন সেদিন ছুটিতে ছিলেন। পরে ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ঢাকার তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম ‘এক্সামিন’ এর জন্য দিন পিছিয়ে ০৬ মে ধার্য করেছিলেন। সোমবার ‘এক্সামিন’ শেষে ১৭ জুন যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন মাকসুদা পারভিন।
এরও আগে গত ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার মাকসুদা পারভিনের আদালতে আসামিদের ‘এক্সামিন’ এর জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন আসামিপক্ষ ড. হুমায়ুন আজাদকে জার্মানির মিউনিখে যে ডাক্তার চিৎকিসা করেছিলেন, তাকে আনার জন্য সমনের আবেদন করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করে পুনরায় ২৪ এপ্রিল ‘এক্সামিন’ করার দিন ধার্য করেন।
হত্যা মামলাটিতে ৪১ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে এই ২১ মার্চ আসামিদের ‘এক্সামিন’ এর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল।
তবে এই ঘটনার বিস্ফোরক মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করা আছে।
প্রথমে হত্যাচেষ্টা হিসেবে মামলা দায়ের করা হলেও পরবর্তীতে তা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলা দু’টি একই আদালতে বিচারাধীন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, হত্যা মামলাটির বিচার কাজ শেষপর্যায়ে। তবে বিস্ফোরক মামলাটি কবে নাগাদ শেষ হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে বহুমাত্রিক লেখক ড. হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে দেশে ও থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেন তিনি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে তিনি ওই বছরেরই ৮ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে যান। সেখানে ১১ আগস্ট মারা যান এই ভাষাবিজ্ঞানী।
এদিকে, ওই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় ড. হুমায়ুন আজাদের ছোটভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। যা পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
প্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন আজাদের জন্ম বিক্রমপুরের রাঢ়িখালে ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং সভাপতিও ছিলেন। হুমায়ুন আজাদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬০ এর বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এমএআর/টিএ