ঘূর্ণিঝড়ের খবর জানার পর থেকেই সতর্ক রয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপকুলীয় এলাকাগুলোতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কয়েক হাজার আশ্রয় কেন্দ্র।
তথ্য আগে পাওয়ায় প্রস্তুতি নেওয়া বেশ সহজ হয়ে যায়। এতে করে জানমালের ক্ষতিও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এসময় যা করতে হবে:
• বাড়িতে থাকা নিরাপদ মনে না হলে আশ্রয় কেন্দ্র চলে যেতে হবে
• পরিবারের সবার প্রয়োজনীয় পোশাক, শুকনা খাবার, ওষুধ, জরুরি কাগজ ও কিছু নগদ অর্থ সঙ্গে নিন
• মোবাইল ফোনে চার্জ দিয়ে রাখুন
• জরুরি সেবার নাম্বারগুলো মনে করে সংগ্রহ করুন
• আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন, সাবধানতা অবলম্বন করুন
• সংবাদে বা মাইকিং করে স্থানীয় প্রশাসন থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়, সেগুলো মেনে চলুন
• করোনার এই সময়ে চেষ্টা করুন শারীরিক দূরত্ব বজায় চলতে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে
• ঝড়ের পরে সরকারি বা এনজিও-র সাহায্যের জন্য অপেক্ষা না করে, নিজেরাই কাজ শুরু করতে হবে
• এলাকার তরুণরা মিলে কয়েকটা দল করে নিলে পুরো এলাকায় কাজ করা সহজ হয়
• রাস্তায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়তে পারে, হাঁটা চলার সময় সাবধানে থাকতে হবে
• যদি গাছপালা ভেঙে পড়ে, সেগুলো সরিয়ে রাস্তায় চলার ব্যবস্থা করা
• আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের বাড়িতে ফিরতে সাহায্য করা
• কারো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের সাহায্যে এগিয়ে আসা
• গবাদি-পশু থাকলে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে আসা
• সবার সহযোগিতা নিয়ে দরিদ্রদের অন্তত কয়েক দিন খেতে পারে এমন শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া
• কেউ আহত হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা
• যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তবে প্রতি বাড়িতে পর্যাপ্ত মোমবাতি সরবরাহ করা
• যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এসআইএস