ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

বিএনপি’র নেতা খুঁজতেই গলদঘর্ম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
বিএনপি’র নেতা খুঁজতেই  গলদঘর্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনী হাওয়া। ছবি: শাহজাহান মোল্লা

শিবগঞ্জ থেকে:  একাদশ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে নেমে পড়েছেন। অনেকেই নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন। নির্বাচনে আরো দেড় বছর বাকী থাকলেও এখনই ক্ষমতার বৃত্তের মধ্যে থেকে ভোটযুদ্ধে নিজেদের সাড়ম্বর উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি, জাসদের দুই একজন কর্মীকে দেখা যায় নিজ দলের নেতাদের গুণগ‍ান গাইতে। চারদিকে নির্বাচনী হাওয়া।

এমনকি কেন্দ্র থেকে নেতাকর্মীদের ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রচারণায় নামার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিও।
 
একযুগ ক্ষমতার বাইরে থাকায় তৃণমূলে বিএনপি’র কর্মীও খুঁজে পাওয়া দায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া যায়। শিবগঞ্জ, কানসাট, সোনাদিয়ার মাঠে ঘাটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি’র একজন কর্মীকেও মাঠে পাওয়া যায় না।
 
এমনকি ওই আসনের ৫ বারের এমপি বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান মিঞা’র নাম পর্যন্ত ভুলে যেতে বসেছে সাধারণ মানুষ।
 
কেন্দ্রে একটু একটু সরব হলেও বিএনপি’র কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না শিবগঞ্জ-কানসাট এলাকায়। এর কারণ কি জানতে চাইলে শিবগঞ্জের বাসিন্দা রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘নেতা পাওয়া যাবে কিভাবে? মো. শাহজাহান মিঞা ৫ বার এমপি ছিলেন। শুধু প্রধান সড়কটি  ছাড়া উনার আমলে উল্লেখ করার মতো কোনে কাজ নেই। এই কয়েক বছরে কোনো অনুষ্ঠানেই তাকে দেখা যায় না। উনি ঢাকায় থাকেন। ভোটের সময় হলে হয়তো দেখা যাবে। ‌’
 
তবে তার কথায় খানিক বাধ সাধলেন বয়স্ক ওহাব মিয়া। তিনি বলেন, এনামুল করছে, শাহজাহান করে নাই কিছু? আসলে কাজ করার পর যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন এনামুল এসে ওই কাজই করেন। এখন নাম হচ্ছে এনামুল করছেন।
 
আসলে কাজ যতই করুক, নেতাকর্মীদের মাঝে মিল না থাকাতেই এমন হয়েছে। উনি (মো. শাহজাহান মিঞা) এলাকাতে শুধু দুই ঈদে আসেন। এছাড়া তাকে আর দেখা যায় না। নেতাই যদি না থাকে তাহলে কর্মী থাকবে কিভাবে?
 
বিএনপি’র এই নেতা শুধু উৎসব কেন্দ্রিক এলাকাতে আসেন বলে জানান স্থানীয়রা। মো. শাহজাহান মিঞা’র বাড়ি শিবগঞ্জ শহরে। নিজ বাড়িকেই দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেন।
 
বিএনপি’র এই নেতা ১৯৮২ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর আরও ৪  বার এমপি নির্বাচিত হন। তার আমলেই বিদ্যুৎ এর জন্য কানসাটে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনে কিছু সাধারণ মানুষ মারা যায়। সেই থেকে বাতিলের খাতায় মো. শাহজাহান মিঞা।
 
স্থানীয় বিএনপি’র তৃতীয় সারির নেতা আজম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মাঠে থাকবো কিভাবে। নেতারা এলাকাতেই আসেন না। উনারা ঢাকায় বসে রাজনীতি করবেন আর আমরা জেলে যাবো। সেজন্যই কিছু বলতে চাই না। ভোট আসুক, তখন দেখা যাবে ভোট দিতে পারি কি না। এখনই নির্বাচন নিয়ে মাঠে নামলে মামলায় পড়লে দেখবে না দলের নেতারা।
 
সাবেক এই সংসদ সদস্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়েছেন। যে কারণে স্থানীয় পর্যায়ে তার ছায়া দেখা যায় না। ঢাকায় বসেই এলাকার রাজনীতি’র খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। যে কারণে তৃণমূলে ক্ষোভ বলে জানালেন তৃণমূল কর্মীরাই।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এসএম/জেডএম

** কানসাট-শিবগঞ্জ জুড়ে শিমুলের ছায়া

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ভোটের-কথা এর সর্বশেষ