কথাগুলো পাবনার সুজানগর উপজেলার ভ্যানচালক হালিম মিয়ার।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ার পরিবেশও চান হালিম মিয়া।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম উন্নত জেলা পাবনা। তবে এ জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ কিছুটা জটিল। সুজানগর উপজেলার পুরোটা ও বেড়া উপজেলার আংশিক (৫টি ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত পাবনা-২ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে তেমনটাই লক্ষ্য করা গেছে।
সুজানগরের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক এলহাজ হোসেন তাই বাংলানিউজকে বলছিলেন, ‘আমাগি আসনে ভোট নিয়ে মারামারি হয় বেশি। ভোটের সময় ভোট দিবো দূরের কথা, আমরা ঘর থেকেই বাড়াতি পারি না। এমন নির্বাচন আমরা আগামীতে চাইনে। আমরা চাই, পছন্দ অনুসারে প্রার্থীকে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতি। সে এবার পাস করিক আর না করিক, তাতে কিছু যায় আসে না’।
বেড়া উপজেলার ফল বিক্রেতা উজ্জ্বল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের আসনের রাজনীতির অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এখানে ভোটের সময় বড় দুই দলেরই ক্যাডাররা মারামারি করে। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন সুষ্ঠু ভোটের। না হলে মারামারির ভয়ে ভোটের দিন আমাদের ঘরে বসে থাকতে হবে’।
মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাগি উপজেলায় কোনোদিনই শান্তিতে ভোট দেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডারদের অত্যাচারে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া যায় না। যেই দলই ভোটে হারতি নিবে, কাটাকাটি শুরু করবে। আমরা এমন নির্বাচন চাইনে’।
‘সরকার যদি নির্বাচন দিতি চায়, তাহলি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করুক। না হয় আমরা আর ভোট দিতে যাবো না’।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এমএ/এএসআর
** ত্রিমুখী কোন্দলে জর্জরিত নাটোর-১ আসনের আওয়ামী লীগ