ভোটের মাঠে এমনই একজন নতুন মুখ সাবেক ছাত্রনেতা আবু বকর সিদ্দিক। এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণাও শুরু করেছেন।
কেন নির্বাচন করতে চান প্রশ্নে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, রাজনীতি মানুষের জন্য। সেই মানুষের কল্যাণ আর সমাজের উন্নয়নে কাজ করা একজন জনপ্রতিনিধির পক্ষে অনেক সহজ। তাই জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হতেই এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই।
এক সময়ের ছাত্রনেতা ও তরুণ রাজনীতিবিদ বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ভোটের বিকল্প নেই। কেবল ভোটের মাধ্যমেই জনগণ তাদের যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। যা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে।
তার দাবি, ছাত্রজীবন থেকেই এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের মেয়ের বিয়ে, ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা এবং শিক্ষার বিস্তারে কাজ করছেন তিনি। আর নির্বাচিত হলে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাদক নির্মূল, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা গঠনে প্রাধান্য দেবেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমানাধিকার ও শোসনমুক্ত জাতি গঠন। আমি সেই আদর্শ ধারণ করে কাজ করতে চাই।
ভিন্ন মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দেশের স্বার্থে মানুষের কল্যাণে অন্যের মতামতকে সম্মান দেওয়া উচিত বলে মনে করেন আবু বকর।
ছাত্রজীবন থেকেই সংসদ নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। বলেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম। তখন থেকেই এলাকায় গণসংযোগ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছি। ঢাকায় থাকলেও এলাকায় যাই। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি নিয়মিত। এবার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে অনার্স-মাস্টার্স করে পরে এলএলবি করেছেন। বলেন, ভালো চাকরি করতে পারতাম। তা করিনি। বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় দল করি। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য, সহ-প্রচার সম্পাদক, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি ছিলাম। ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হল সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বে আছি।
চিন্তা-চেতনা, ব্যক্তিত্ব, মানবতাবোধের সমন্বয়ে সাদামাঠা নিরহংকারী জীবনযাপন করতে তিনি পছন্দ করেন বলে জানান সাবেক এ ছাত্রনেতা।
দলে সিনিয়র নেতা থাকতে তাকে কেন মনোনয়ন দেওয়া হবে জানতে চাইলে আবু বকর বলেন, নাদিম মোস্তফার মতো সিনিয়র নেতারা ইচ্ছেমতো কমিটি দেন, ইচ্ছেমতো ভাঙেন। আমি দীর্ঘসময় ছাত্র রাজনীতি করেছি, দুঃসময়ে রাজপথে থেকেছি। আমি পুঠিয়া-দুর্গাপুরের মাটির সন্তান। সেখানকার মানুষ আমাকে চায়। দল যদি সঠিকভাবে মাঠ যাচাই করে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমার বিশ্বাস আমিই মনোনয়ন পাবো এবং জিতবো।
তবে কোনো কারণে মনোনয়ন না দিলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে সবাই মিলে তার জন্য কাজ করবে বলেও জানান তিনি। বলেন, অনুরোধ থাকবে দল যেন এলাকার সঠিক তথ্য নিয়েই মনোনয়ন দেয়।
মনোনয়ন নিয়ে জিতলে এলাকায় শিক্ষার আধুনিকায়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দূরীকরণ ও বেকার সমস্যা সমাধানে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন আবু বকর।
‘শুধু মুখে নয়, মানুষকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, আমার দৃষ্টিতে এলাকার একমাত্র সমস্যা বেকারত্ব। সেটা নিরসনে কাজ করবো। আর তরুণ ভোটাররাই আগামীর বাংলাদেশের চালিকা শক্তি। তাই তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এএ/এইচএ/
আরও পড়ুন
** মানুষ এতো অমানবিক কেন!
** পানির তোড়ে ওষুধ বিক্রেতাও খোলা রাস্তায়
**‘আইজ হামাক খাবার নেই, কাঁঠাল সিদ্ধ কইরে খাব’
**রাস্তায় জ্বলছে চুলা, রাস্তায়ই খাওয়া
** গম-ভুট্টা-পাটক্ষেতের উপর দিয়ে চলছে নৌকা!
** পচা ড্রেনে ছিপ ফেলে কেজি কেজি মাছ!
** নির্বাচনী এলাকায় ‘তুলোধুনো’ এমপি দারা!
** তিতুমীরে হিজড়া-ভিক্ষুকের রাজত্ব!
** পেরেছে কলকাতা-রাজশাহী, পারলো না শুধু ঢাকা!
** ‘নির্বাচিত হলে গ্রামেও আনবো ডিজিটাল সুবিধা’
** এমপি হলে পুরো বেতন অসচ্ছল নেতাকর্মীদের দেব
** ভরসন্ধ্যায় নির্বাচনী উত্তাপ রাজশাহী মহানগর আ'লীগ অফিসে
** এই আমাদের বিমানবন্দর রেলস্টেশন!