নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৩টায় জেলার আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টগুলোর রেকর্ড সংগ্রহ ও সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আত্রাই নদীর পানি মান্দা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
একই নদীর আত্রাই রেল স্টেশন পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ছোট যমুনা নদীর নওগাঁ শহরের লীটন ব্রিজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা দুর্গত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আত্রাই নদীর বিভিন্ন বাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে পানি ঢুকে জেলার মান্দা, আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরইমধ্যে পাঠদান বন্ধ হয়ে পড়েছে। চরম দুভোর্গে পড়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ। দুর্গতরা উঁচু স্থান, সড়ক ও বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নওগাঁ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এক জরুরি সিদ্ধান্তে বানভাসিদের জন্য মান্দা উপজেলায় ১৩ মেট্রিক টন ও আত্রাই উপজেলায় ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। বিকেলে মান্দার কশব ইউনিয়নের বন্যা দুর্গতদের মধ্যে তিন মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া নওগাঁর পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক নিজ উদ্যোগে আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বানভাসি ২২০টি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল ও ১ কেজি করে ডাল বিতরণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এসএইচ