কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব থেকে: জিপি ক্যাম্পেন হেমন্ত সারদেশাই ছিলেন ৪নং সেক্টরে। ভারতের গৌহাটি, আসাম এলাকা থেকে তিনি যুদ্ধে আসেন।
হেমন্ত সারদেশাই বলেন, রাতেই খবর এলো রেঙ্গুন থেকে একটি প্লেন এসে জেনারেল নিয়াজিকে নিয়ে যাবে। সেটি অবতরণ করবে তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়েতে। তার দায়িত্ব হলো নিয়াজি যাতে কোনোভাবেই পালাতে না পারেন। সে লক্ষ্যে দায়িত্ব নিয়ে হেমন্তের নেতৃত্বে সকাল থেকেই শুরু হয় বোমা হামলা।
হেমন্ত বলেন, ছোট্ট রানওয়ে, ঘন কুয়াশা। তার মধ্যে এই হামলা ছিলো খুবই বিপজ্জনক। কিন্ত তারা পিছপা হননি। একের পর এক বোমা ফেলতে থাকেন রানওয়ের ওপর। ফলে রেঙ্গুন থেকে আসা প্লেন আকাশ থেকেই ফিরে যায়।
একাত্তর টেলিভিশন ও ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) আর্মি গলফ কোসের পামভিউ রেস্টুরেন্টে চলে এমন মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলার আসর। আর সেখানে এভাবেই একাত্তরের স্মৃতি রোমন্থন করেন হেমন্ত সারদেশাই।
** বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধন রক্ত দিয়ে লেখা
** মুক্তিযুদ্ধের গল্প আসরে বাংলাদেশ-ভারতের যোদ্ধারা
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এমএমকে/টিআই