নির্মাণে গতি আরও বেড়েছে। শীত মৌসুম সেতু নির্মাণ কাজের উপযুক্ত সময় হওয়ায় পুরোদমে কাজ অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও মাদারীপুরের জাজিরা অংশ সরেজমিনে গিয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণে দ্রুত গতি লক্ষ্য করা যায়।
মাওয়া অংশে সেতুর বিভিন্ন অংশ ও সরাঞ্জম জোড়া লাগানো হচ্ছে। আর পদ্মার ওপারে নাও ডোবা থেকে পাঞ্চর মোড় পর্যন্ত জাজিরা ফোরলেন সংযোগ সড়কের ১২ কিলোমিটারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ১১ কিলোমিটার। এ সড়কের মাঝখানে রয়েছে ডিভাইডার।
ভারত থেকে আনা পাকুর পাথর এ সংযোগ সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। যা দেশের অন্যতম সেরা শক্তিশালী ও টেকসই সড়ক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সড়কটি আগামী ১৩ জানুয়ারি যান চলাচলের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত হয়ে থাকবে।
জাজিরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাইড ইঞ্জিনিয়ার সাইফুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, তাদের আবুল মুনেম ঠিকাদারি কোম্পানির দীর্ঘ তিন বছরের প্রচেষ্টায় মূল পদ্মাসেতুর জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে। এ কাজে বাজেট ছিলো ১২০০ কোটি টাকা।
এ সংযোগ সড়কে ২০টি কালভার্ট, ৮টি আন্ডারপাস ও ৫ টি ছোট ব্রিজ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাজিরা সংযোগ সড়ক ধরে মাদারীপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে সড়কের দু'পাশে নিচু ফাঁকা মাঠের সবুজের ভাঁজে ভাঁজে অল্প-স্বল্প ছোট-ছোট বাড়ি-ঘর চোখে পড়বে। এসব বাড়ি-ঘরের বেশির ভাগই টিনের তৈরি এবং তা দোতালা। আছে রং-বেরংয়ের নকশা ও কারুকাজ।
সড়কের দু'পাশের নাও ডোবা, শিকদার কান্দি, কেশবপুর, কুতুবপুর, পেডি ফিল্ড ও পাঞ্চর এলাকার এসব বাড়ি-ঘর প্রথম দর্শনে যে কারো মুগ্ধ না হয়ে উপায় থাকবে না।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ূন কবির বলেন, সেতুকে কেন্দ্র করে জাজিরা সংযোগ সড়কের দু-ধারের নাও ডোবা, পাঞ্চর, শিবচরসহ অন্যান্য এলাকার জমির দাম ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।
সেতু চালু হয়ে গেলে এসব জমির দাম আরও বাড়বে, তৈরি হবে বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্র তৈরির মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন...
** সোনালী স্বপ্নের স্বর্ণরঙা সেতু আর নয় বেশি দূর
** পাথর ভাঙ্গার শব্দে স্বপ্ন বুনন পদ্মায়
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
টিআই